1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আশুরার ফজিলত ও করণীয় আমল : কাজী মো. শাহেদ আলী

  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

হিজরি সনের প্রথম মাসের নাম মুহাররম। ইহা আল্লাহপাক কর্তৃক সম্মানিত মাস। এই মাসের মধ্যেই মহাসম্মানিত আশুরার দিন রয়েছে। আশুরা আশারা শব্দ হতে এর অর্থ (১০ম) দশম দিন। এক কথায় মুহাররমের দশতম দিনকে বুঝায়। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে। হযরত নাফে (রা.) বলেন আমাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) খবর দিয়েছেন, জাহিলিয়াতের যুগে লোকেরা আশুরার দিনে রোজা পালন করত এবং রাসুলে পাক (সা.) নিজেও এই দিনে রোজা পালন করেছিলেন। মুসলমানগণও রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার দিনে রোজা পালন করতেন। অতঃপর যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হল তখন হুজুর পাক (সা.) এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আশুরার দিনটি আল্লাহপাক কর্তৃক সম্মানিত দিনসমূহের একটি দিন। তোমাদের মধ্যে যে ইচ্ছা এই দিনে রোজা রাখতে পারো আর যে ইচ্ছা রোজা নাও রাখতে পারো (মুসলিম)। ছাহাবায়ে কেরাম রাসুলে পাক (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! আশুরার দিন আল্লাহ তায়ালা কি সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করিয়াছেন? হুজুর পাক (সা.) জবাবে এরশাদ ফরমাইলেন হ্যাঁ আল্লাহ তায়ালা আকাশ সমূহকে আশুরার দিন সৃষ্টি করেছেন। পাহাড়, সাগর, লওহো, কলম এমনকি হযরত আদম (আ.)-কে আশুরার দিন সৃষ্টি করেছেন। এবং ঐদিনই হযরত আদম (আ.)-কে বেহেস্তে দাখিল করেছেন। ঐ দিনেই হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম এবং হযরত ইসমাইল (আ.)-এর দুম্বা কোরবানি কবুল হয়েছিল। ফেরাউনের দলবলসহ সাগরে ডুবানো এবং হযরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের উপর জয়ী করা হয়েছিল। হযরত আদম (আ.)-এর তৌবা আল্লাহপাকের দরবারে ঐদিনই কবুল করা হয়েছিল। হযরত নূহ (আ.)-কে মহাপ্লাবন থেকে নাজাত এবং হযরত আয়ুব (আ.)-কে রোগ মুক্তি এবং হযরত ইসা (আ.)-এর জন্মদিন ঐ আশুরার দিনেই হয়েছিল। এক কথায় আশুরার দিনে পৃথিবী সৃষ্টি এবং ঐ দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হইবে।
হযরত ইসমাইল ইবনে উমাইয়া (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি আবু গতিফান ইবনে তারিফকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রা.) কে বলতে শুনেছি, যখন প্রিয় নবীজী (সা.) আশুরার দিন রোজা রাখলেন এবং এ দিনে রোজা রাখার আদেশ করেন তখন ছাহাবাগণ আরজ করলেন হে আল্লাহর রাসুল! আশুরা তো এমন একটি দিন, যা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানরাও সম্মান করে রোজা রাখে। এ কথা শুনে রাসুলে পাক (সা.) এরশাদ ফরমাইলেন আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে আগামী বছর আমরা মুহাররমের নবম তারিখেও রোজা রাখতে পারি।
হযরত আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল পাক (সা.) ইরশাদ করেন আশুরার দিনে রোজা পালন আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী এক বছরের গোনাহ মিটিয়ে দিবেন। (ইরনে হিব্বান) আশুরার দিনে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রিয় নবীজীর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.)-কে এজিদ কর্তৃক ফোরাত নদীর প্রান্তরে তাঁর বংশসহ শাহাদত বরণ করেন। ঐ দিনে আমাদের উচিত কোন প্রকার নাচ-গান, জারি মাতুম, নিজ শরীরে কোন প্রকার আঘাত না করা, অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা। কবির ভাষায়, ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না। ঐ দিনের মর্যাদা ঠিক রেখে পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, ওয়াজ নছিয়ত, দরুদ, সালাম, মিলাদ ও কিয়াম করে আম্বিয়া ও শহীদানগণের উছিলায় আমাদের দোয়া যেন কবুল করেন এবং আমাদের সকল জিন্দা-মুরদাগণকে মাফ করে আমাদিগকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান করেন। আল্লাহতায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন! ছুম্মা আমিন!!
[লেখক : মাওলানা কাজী মো. শাহেদ আলী, সাবেক সুপার (স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত)]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com