স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাগনার হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে শুক্রবার শান্তিপুর গ্রামের ভানু মিয়া (৩৬) ও তার ছেলে সুমন মিয়া (১৩) এবং গত ১০ জুলাই জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সাবিকুল রহমান (৪৫) ও তার ছেলে আলভি রহমান অন্তর (৫) বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ শান্তিপুর ও কাশিপুর গ্রামে নিহতের বাড়ি গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান এবং সরকারে মানবিক সহায়তা তহবিল হতে ২০ হাজার টাকা করে দুই পরিবারকে ৮০ হাজার টাকা; পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য নতুন কাপড় ও শুকনা খাবার তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, এ অবস্থায় নিহতদের পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতার চেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানানোই মূল বিষয়। বজ্রপাতে প্রাণহানি রোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়ানো। তিনি বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে আবহাওয়া খারাপ দেখলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খোলা স্থানে না থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তাছাড়া সরকারে অন্যান্য সহায়তার আওতায় নিয়ে আশা হবে। এসময় জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত ফাতিমা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আলম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।