স্টাফ রিপোর্টার ::
গত তিনদিন ধরে ঢল ও বর্ষণ বন্ধ থাকায় জেলার ১১ উপজেলার নি¤œাঞ্চল থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। এদিকে ভাসতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া নলকূপগুলো। টানা আটদিনের ঢল ও বর্ষণে ১১ উপজেলা প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। গত ৮ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছিল পুরো জেলা। বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ছিলেন বন্যার্ত এলাকার লোকজন। এখনো এই সমস্যা আছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এই অধিদপ্তরের অধীন সরকারি প্রায় ২৬ হাজার নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। সরকারিগুলো বাদেও ব্যক্তি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত নলকূপ তলিয়েছিল। এতে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দেখা দিয়েছিল পুরো হাওর অঞ্চলজুড়ে। এখন বন্যার পানি নামলেও প্লাবিত হওয়ার কারণে নলকূপের পানি দূষিত হয়েছে। এগুলো ওয়াশ করে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় ১৫ হাজার ওরস্যালাইন, ২৮৮টি কলেরা স্যালাইন ও ৬ হাজার ৬০০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। আরো ওষুধ মজুদ রয়েছে বলে সূত্র জানায়।
তাহিরপুরের তরং শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম আহমদ আখঞ্জী বলেন, আমাদের এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘরের নলকূপ পানিতে তলিয়েছিল। এখন এগুলো ভাসতে শুরু করেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই নলকূপ থেকেই ওয়াশ না করেই পানি পান করছেন এলাকাবাসী।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, আমাদের প্রায় ২৫ হাজার নলকূপ আছে। এর মধ্যে এবারের বন্যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার নলকূপ প্লাবিত হয়েছিল। এখন বন্যার পানি কমতে শুরু করায় নলকূপগুলোও ভাসতে শুরু করেছে। প্লাবিত নলকূপ ওয়াশ করে পানি পান করার পরামর্শ দেন তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার পানি নামছে। তবে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢল-বর্ষণ বন্ধ এবং প্রখর রোদের কারণে পানি কমছে।