1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ইসবগুল শরবতে অসাধারণ : ডা. নীলরতন সরকার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সবাই আমরা কম-বেশি ইসবগুলের নাম শুনেছি। কারণ, এমন মানুষ কম পাওয়া যাবে যে কখনো কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেনি। আর কোষ্ঠবদ্ধতা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই বাসার বড়রা যে জিনিসটির কথা প্রথমেই মনে করেন তা হল ইসবগুল বা ইসবগুলের ভুসি।
ইসবগুল ব্যবহারে কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, গেজ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, আমাশয়, আমাশয়ের বিকার, সূতিকা রোগ, শ্বেতপ্রদর, শ্বাকষ্ট, মাথাব্যথা এবং মাথাঘোরা প্রভৃতি ভালো হয়।
রোজার মাসে ইসবগুলের ভূসির বেশি প্রয়োজন পড়ে। কারণ রোজার মাসে যারা রোজা রাখেন তারা ইফতারে নানা রকমের ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। সাথে পরিবারের অন্য সদস্যরাও খান। যেমন- বুট ভাজা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, মাংসের চপ ইত্যাদি খাওয়া হয়। সারাদিন রোজা রেখে এসব তৈলাক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দেয়। আর কোষ্ঠবদ্ধতা হলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। বুক, গলা জ্বালাপোড়া করে, চোকা ঢেকুর ওঠে। তাই এরকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে সকালে ঘুম থেকে ওঠে টয়লেটে গেলে সহজে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে ভুসি খাওয়ার নিয়ম অবশ্যই জানতে হবে। ভূসি খাওয়ার নিয়ম নিম্নে আলোচনা করা হল-
কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠবদ্ধতা : এই সমস্যা দেখা দিলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে অথবা সকালে খালি পেটে সেবন করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। যারা পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা সকাল ও রাতে দুইবার দুই মাস খেতে হবে। পরে নিয়মিত পায়খানা হলে শুধু রাতে শোবার আগে খেলেই চলবে। আস্তে আস্তে মাত্রা কমাতে হবে। পায়খানা যখন নিয়মিত হবে তখন সপ্তাহে দু-একদিন খেলেই হবে।
বাজারের পেট পরিষ্কারক ঔষধের চেয়ে ইসবগুলের ভুসি অনেক গুণ ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্যে এর চেয়ে ভালো স্থায়ী সমাধান আর কিছুতে আছে বলে মনে হয় না।
অর্শ রোগে : কোষ্ঠবদ্ধতা এই রোগের প্রধান ও অন্যতম কারণ। তাই অর্শ রোগীদের প্রতিদিনের ঔষধ এই ইসবগুলের ভুসি। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভুসি মিশিয়ে সেবন করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আমাশয়ে : যারা আমাশয়ে ভুগছেন তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। ইসবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে না, তবে বের করে দিতে পারবে। আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একবার করে শরবতের সাথে ইসবগুল খাবেন।
প্র¯্রাবে জ্বালাপোড়ায় : যে কোন কারণে প্র¯্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া করলে সকালে এক গ্লাস ও বিকেলে এক গ্লাস শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্র¯্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।
শ্বেতপ্রদরে : ডিমের লালার মতো, পাতলা পানির মতো অথবা ঘন শ্বেত প্রদরে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ইসবগুলের ভূসি, এক চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে প্রত্যহ রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১৪ দিন সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মাথাঘোরা রোগে : যে কোনো কারণে মাথাঘুরানি রোগ হলে বা হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে সকাল-বিকেল এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
সবশেষে বলব ইসবগুলের ভুসির মতো এমন নির্দোষ পেট পরিষ্কারক ঔষধ যা ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এটা খেতে পারে নির্দ্বিধায়।
[লেখক ডা. নীলরতন সরকার, অধ্যাপক (আয়ুর্বেদ), সুনামগঞ্জ সংস্কৃত কলেজ, সুনামগঞ্জ]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com