মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
নজর কেড়েছে সোনালী চেলার বাঁশের সেতু। দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তের নরসিংপুর ইউনিয়নের অন্তভুক্ত পাহাড়ী নদী সোনালী চেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। দুই পারের মানুষের পারাপারের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে ওই সেতুটি নির্মাণের ফলে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের পারাপার সহ প্রতিনিয়ত মোটর সাইকেল, মিনি ট্রাক, সিএনজি চালিত অটো রিকসা চলাচল সুবিধাও বেড়েছে।
সোনালী চেলার মোহনায় চারি দিকে এখন বালির চর জেগে ওঠেছে। বর্ষায় যৌবন দীপ্ত থাকে এই পাহাড়ী নদী। উজান থেকে নেমে আসা প্রবাহমান পানির প্রচন্ড শ্রোতধারা তখন নয়নাভিরাম দৃশ্য এখানে মনজুড়ায়। বর্ষায় দুই পারের মানুষের পারাপার ভরসা তখন একমাত্র নৌকা। সে সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।
অপর দিকে শুষ্ক মৌসুমে পাল্টে যায় সোনালী চেলা নদীর দৃশ্যপট। নদীর পানি তখন শুকিয়ে যায়। দুই তীরেই বিশাল চর জেগে চারি দিকে ধু ধু মরু ভূমিতে পরিণত হয়। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের একেবারে জিরো পয়েন্টে নদীর মোহনায় ভেসে উঠে চর। পদ্মা মেঘনা কিংবা যমুনার চিত্র দেখা যায় এখানে। ভারতের সুউচ্চ কালো পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে বইয়ে যাওয়া ওই নদীর দৃশ্য আগন্তক পর্যটকদের কাছে আরো মোহনীয় হয়ে ওঠে। দেখতে মনে হবে যেন সাগর তীরে দৃশ্যপট এটি।
শুষ্ক মৌসুমের এই দিনগুলোতে ওই নদীর পানি শুকিয়ে তলদেশ দিয়ে পানির প্রবাহ দৃশ্যমান থাকে। প্রতিনিয়ত চুনাপাথর বোঝাই সারি সারি বারকী নৌকা চলাচলে নদীতে নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়।
স্থানীয়রা বলেন, চলতি বছরে সোনাপুর ক্বওমী মাদরাসার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাড়ে ৪লাখ টাকায় সোনালী চেলা খেয়াঘাটের ইজারা দেন। শুধু মাত্র শুষ্ক মৌসুমে ভাসমান খেয়াপারাপারের আদলে ইজারাদার সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যায়ে প্রায় সহস্রাধিক ফুট বাঁশের এই সেতুটি নির্মাণ করেন। প্রায় ৬ফুট প্রস্থ সেতুটির নিচে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত জাতের কাঠের টুকরো। যাতে প্রতিনিয়ত মানুষ পারাপারসহ মাঝারি যানবাহন সহ সিএনজি চালিত মোটরযান গুলো চলাচল করতে পারে।