স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের নোয়াহাট গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে রক্তি নদীতে এটিএম হায়দার বখতের নামে বিভিন্ন বালু-পাথরবাহী নৌযান হতে বেআইনিভাবে রয়েলিটি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ইজারাদার আজাদ হোসেন ও ভুক্তভোগী বালু পাথর ব্যাবসায়ী মালিক সমিতি একাধিক লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনভাবেই থামছে না রয়েলিটি আদায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে রয়েলিটি আদায়ের জন্য খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের ফেরদৌস আলম ও আজাদ হোসেনকে রয়েলিটি আদায়ের জন্য ৭১.৪৯ হেক্টর জায়গা ইজারা প্রদান করা হয়। এ জায়গার অন্তর্ভুক্ত মৌজাগুলো হল চালিয়ার ঘাট (আংশিক), পুরান লাউড় (আংশিক), লামাশ্রম, কুনাট, গকুলপাড়া, রানাপাড়া, নোয়াগাঁও, গাঘরা, পূর্বদৈল ও সোহালা। অপরদিকে একই মন্ত্রণালয় এটিএম হায়দার বখতের নামে শুধুমাত্র চালিয়ারঘাট ও পুরান লাউড়ের মৌজাদ্বয়ের আংশিক এলাকার মোট ৪৯.১৩ হেক্টর জায়গা ইজারা প্রদান করা হয়। ইজারা চুক্তি মোতাবেক ইজারাদার নির্দিষ্ট মৌজায় রয়েলিটি আদায়ের কথা থাকলেও চুক্তিভঙ্গ করে এটিএম হায়দার বখতের নামে বেআইনিভাবে ইজারাবহির্ভূত এলাকায় (নোয়াহাট গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে রক্তি নদীতে) জোরপূর্বক কিছু সংখ্যক চাঁদাবাজ দিনের পর দিন চাঁদা আদায় করে আসছে। ফলে একজন ব্যবসায়ী একই মালামালের জন্য ২ জায়গায় রয়েলিটি প্রদান করতে হচ্ছে। এতে করে যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর ব্যবসায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, সেই সাথে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এটিএম হায়দার বখতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফাজিলপুর বালি পাথর কোয়ারির যে কোন জায়গায় রয়েলটি আদায়ের জন্য আমার চুক্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব জানান, এটিএম হায়দার বখত ও তার প্রতিনিধিদের নির্দিষ্ট জায়গায় রয়েলিটি আদায় করার জন্য বার বার বলা হচ্ছে এবং তাদের লাল নিশান দিয়ে ইতিপূর্বে জায়গা পরিমাপ করে দেওয়া হয়েছে।