স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরভাটির বিপ্লবী ও দেশখ্যাত বাম কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ কমরেড বরুণ রায়ের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কমরেড বরুণ রায়ের জীবনকর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধ চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সুনামগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি ও কমরেড বরুণ রায়ের সহধর্মিনী শীলা রায়, শিক্ষাবিদ দিলীপ কুমার মজুমদার, পরিমল কান্তি দে, বিশিষ্ট লেখক অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার দেব, সিপিবি’র সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আজকে বরুণ রায়ের স্বপ্নের কথা আমরা বলি, কমরেডদের কথা বলি, উনারা আসলে কি চেয়েছিলেন? তারা চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের কোন অভাব থাকবে না। থাকবে না কোন দুঃখ-দুর্দশা। আমরা আজকের বাংলাদেশে যারা সমাজে-প্রশাসনে বা সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে কাজ করছি তারা যদি সত্যিকারভাবেই দেশের জন্য কাজ করি। সমাজের জন্য কাজ করি তাহলেই বরুণ রায়ের স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব।
বক্তারা আরো বলেন, কমরেড বরুণ রায় শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের হৃদয়ের ভাষা বুঝতেন। দুঃখী মানুষের নেতা ছিলেন তিনি। অর্থ ও বিত্তের প্রতি কোন মোহ তাঁর ছিল না। তাঁর আদর্শ বর্তমান প্রজন্মকে অনুসরণ করতে হবে।
আলোচনাপর্ব শেষে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।