সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দীন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগেও এ বিষয়ে দু’দফা শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
গত ২৪ আগস্ট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। ওইদিন নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।
পরে ব্যারিস্টার মঈন গণি বলেন, নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। এরপর রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন। রুল শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি। দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৫ সালে দোয়াবাজারের টেংরাটিলায় যে বিস্ফোরণ ঘটেছে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দের জন্যও আবেদন করা হয়।
আইনজীবী মঈন গণি বলেন, নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কো¤পানিটির গ্যাসসংক্রান্ত চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।