1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আগাম নির্বাচন, আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ বা দেশে আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আগামী নির্বাচন হতে পারে। আমরা এমন কোনো দৈন্যদশায় পড়িনি যে, এখন নির্বাচন দিতে হবে।”
আর গত নির্বাচনের আগে বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল- সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ‘অপাত্রে ঘি’ ঢালেন না।
সাম্প্রতিক কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে জানাতে বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন সরকারপ্রধান।
কয়েকটি মহলে আগাম নির্বাচনের আলোচনার প্রেক্ষাপটে গত ২৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নয়, সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে গণভবনের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে আরও সময় দরকার। আমরা গেলে উন্নয়ন কাজের কী অবস্থা হয়…।”
তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গত প্রায় নয় বছরে দেশের যে উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, ‘এত অল্প সময়ে’ এতোটা উন্নয়ন আর কেউ করে দিতে পারেনি।
দলের গত জাতীয় সম্মেলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন হবে- সেটাই তিনি চান।
সেই প্রসঙ্গ টেনে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত জানতে চান, নির্বাচনে সব দলকে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না বা আলোচনার কোনো প্রস্তাব দেওয়া হবে কি না।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিনেত্রীর দিকে ইংগিত করে বলেন, “তাকে বরণ ডালা পাঠাতে হবে?”
নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে গণভবনে দাওয়াত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কার সঙ্গে আলোচনা? কিসের প্রস্তাব! একবার প্রস্তাব দিয়ে যে ঝাড়িটা খেলাম… তাকে আর প্রস্তাব দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না।”
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি নেত্রীকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সে কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আর যাই হোক আমি প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে যখন মারা গেলো, আমি তার বাড়িতে গেলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না!”
এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ ই মামুন সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে কাছে জানতে চান, ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করা বিএনপিকে আগামী বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আনতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার কোনো উদ্যোগ সরকারপ্রধান নেবেন কি না।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আবারও বলব, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসা প্রত্যেকটা দলেরই কর্তব্য। যে দল নিজের দলেও গণতন্ত্র চর্চা করে না, তারা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা নিজ নিজ দলের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের করার কিছু নাই।
“একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যারা যারা বিশ্বাস করে তারা নির্বাচন করবে, আর যারা মনে করে যে, কেউ উপর থেকে ফলটা ছিঁড়ে খাইয়ে দেবে, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, সেখানে আমাদের কী করণীয় আছে? আমাকে বলেতো লাভ নেই।”

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com