স্টাফ রিপোর্টার ::
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী বলেছেন, বাংলাদেশের মরমি সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র বাউল কামাল পাশা। ঐতিহাসিক নানকার আন্দোলনের বিপ্লবী নায়ক, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জাতির জনকের একাধিক সভামঞ্চে গণসঙ্গীত পরিবেশনকারী প্রতিভাবান বাউল শিল্পী কামাল পাশা কোন কিছু পাওয়ার জন্য সংগীত চর্চা করেননি এটা সত্য। কিন্তু তার কোন উত্তরাধিকারী নেই বলে তিনি মূল্যায়ন পাবেননা এটা হতে পারেনা। তাকে স্বীকৃতি দিলে মরমি সংস্কৃতির ভিত্তি মজবুত হওয়ার পাশাপাশি অন্য গীতিকাররাও গান রচনায় উৎসাহিত হবেন। আমি মনে করি আবহমান সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধারণের জন্যই কামালগীতিকে লালন করতে হবে।
বুধবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসনরাজা মিলনায়তনে প্রয়াত বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন)-এর ১১৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি শাহানা রব্বানী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
বাউল কামালপাশা স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুলের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সাংবাদিক আল-হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল, প্রবীণ গীতিকার মকরম আলী শাহ, কামাল পাশা স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, এনজিও পদক্ষেপ-এর কোঅর্ডিনেটর মো. মজিবুল হক আকন্দ, সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ ও শ্রমিকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম।
আলোচনা সভার পরে বাউল কামাল পাশার গান কামালগীতি পরিবেশন করেন বাউল সিরাজ উদ্দিন, বাউল তছকীর আলী, বাউল জয়নাল আবেদীন, বাউল শাহজাহান সিরাজ, বাউল যোবায়ের বখত সেবুল, বাউল কৃষ্ণ চন্দ, বাউল শফিকুন নুর, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল রুহেল মিয়া, বাউল ফারুক আহমদ, তানজিনা বেগম, তারা মিয়া মাস্টার, ডা. বায়েজিদ হোসাইন, বাউল আব্দুল কাইয়ুম, ক্বারী আমিরুল ইসলাম, আমির হোসেন, শিশুশিল্পী মাফরোজা সিদ্দিকা বুশরাসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে দেশে আইলো নতুন পানি ঘুচে গেল পেরেশানী, দিলকী দয়া হয়না, প্রেমের মরা জলে ডুবেনা, আপে আল্লাহ রব জলিল, আকাশটায় কাঁপে কেন ইত্যাদি জনপ্রিয় কামালগীতি পরিবেশন করা হয়।