ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনদের হামলায় আবু তৌহিদ জুয়েল (৪০) নামের কলেজ শিক্ষক নিহত হন। বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সকালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাকিয়াম ও খলাপাড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বাদশাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এসে শেষ হলে সকাল সাড়ে ১১টায় সেখানে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাকিয়াম গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজমুল ইসলাম, নিহতের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন, নিহতের বড় ভাই শোয়েবুর রহমান, বড় বোন শোভা আক্তার, ছোটভাই সোহেল মিয়া প্রমুখ।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামের আবু তৌহিদ জুয়েলদের পরিবারের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামের এক প্রতিবেশীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। জুয়েল পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি জামালগঞ্জ থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আবু তৌহিদ জুয়েল ও আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে নিজ নিজ বাড়ির সামনের উঠোনে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুর রাাজ্জাক ও তাঁর লোকজন অতর্কিতভাবে লাঠি দিয়ে আবু তৌহিদ জুয়েলের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। এতে আবু তৌহিদ জুয়েল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওইদিন সকাল ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শোয়েবুুর রহমান বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ করে ঘটনার দিনই থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত ১১জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।