স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের ওয়েজখালি ঘাট এলাকায় এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ ১০ হাজার ১৯০ টাকা। এই প্রকল্পে হাওর জেলা নেত্রকোণা ও ভৈরবসহ তিনটি জেলায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মিত হবে। মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভাগ্যের পরিবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা করেছিলেন তা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির এই ধরনের পরিকল্পনা অতীতের কোনো সরকার দিতে পারেনি। যেটা দিতে পেরেছেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমেই আজকে দেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে চলছি।
প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আরো বলেন, আগে একজন মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে একশত থেকে দেড়শত টাকা পেত। আজ দেশের প্রতিটি মানুষের গড়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে একজন শ্রমিকের দিনমুজুরি ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যে পরিকল্পনাটি করলেন যে মানুষের কাছে টাকা-পয়সা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু করে স্কুলের হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে সরকার টাকাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, হাওরে প্রাকৃতিকভাবে যে মিঠাপানির সুস্বাদু মাছ উৎপাদিত হয় তা প্রক্রিয়ার অভাবে মৎস্যজীবীরা ন্যায্য মূল্য পায়না। প্রক্রিয়ার অভাবে মাছ মরে যায়, মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মৎস্যজীবীরা সেবা নিয়ে দেশ-বিদেশে মাছ প্রক্রিয়াজাত করে লাভবান হতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার বিশ্বজিৎ দেব-এর সঞ্চালনায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমদ, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এমরান আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসলাম আলী, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, সহকারি কমিশনার রাহুল চন্দ্র, সহকারি কমিশনার নাহিদ হাসান খান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি দেবাশীষ দাসগুপ্ত বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন প্রমুখ।