1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওরের ফসল রক্ষায় নদী খনন জরুরি

  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওর এলাকার নদীগুলো খনন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। কৃষকেরা এখন হাওরে বীজতলা তৈরি এবং আবাদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু হাওর থেকে পানি ধীরে নামায় তারা সেই কাজ করতে পারছেন না। তাই দ্রুত নদী খনন করতে হবে। একই সঙ্গে এ কাজে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।
সুনামগঞ্জের রক্তি-যাদুকাটা নদীর খননকাজ পরিদর্শনকালে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের সদস্যরা এই মত দিয়েছেন। রোববার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এই খনন কাজ পরিদর্শনে যান তাঁরা। এ সময় পাউবো’র কর্মকর্তারাও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী জানান, তাঁরা ওই এলাকার নদী খননে থাকা চারটি ড্রেজার দেখেছেন। এর মধ্যে দুটি বন্ধ রয়েছে। একটি ড্রেজারের সামনে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড আটকে আছে। সেটি সরানো যাচ্ছে না। এর ফলে ওই স্থানে নদী খনন বন্ধ আছে। একইভাবে আবুয়া নদী এলাকায় আরেকটি ড্রেজার তাঁরা বন্ধ পেয়েছেন।
বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, যতদিন নদী খনন চলবে ততদিন এই নদী দিয়ে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখা দরকার। প্রয়োজনে অন্য নদী দিয়ে তাদের চলাচলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে নদীর বিভিন্নস্থানে মাছ আহরণের জন্য বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে। এগুলো পলি আটকে দেবে। পাশাপাশি লোকজন ড্রেজারের মাটি তাদের জমিতে ফেলতে দিচ্ছে না। এটাও একটা সমস্যা। এসব প্রতিবন্ধকতা দ্রুত দূর করতে হবে। এ জন্য স্থানীয় লোকদের নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বসা উচিত। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি নদী খনন জরুরি। কারণ নদী গভীর থাকলে উজান থেকে আসা ঢলের পানির চাপ বাঁধের ওপর কম থাকে। সঠিকভাবে নদী খনন হলে ফসলের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
নদী খনন পরিদর্শনে সংগঠনের অন্যন্যদের মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান ও চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সদস্য মালেক হুসেন পীর, রুহুল তুহিন, রবিউল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, কুদরত পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জর কুমার দাশ বলেন, তাঁরা যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন সেগুলোর সঙ্গে আমরাও একমত। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুটি ড্রেজার বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি নতুন আনা হয়েছে, এটি সোমবার থেকে কাজ করবে। অন্যটির সামনে একটি বালুভর্তি বাল্কহেড আটকে থাকায় কাজ করতে পারছেনা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com