স্টাফ রিপোর্টার ::
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং প্রতিবন্ধী শিল্পীদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রোববার সকালে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয়, সম্পদ। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের কোনো আচরণে যেন তারা কষ্ট না পায়। এটাই হবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বড় সেবা। তারা যেন নিজেকে অবহেলিত মনে না করেন, এ ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিবন্ধীদের মা-বাবারা অনেক সময় হতাশা প্রকাশ করেন, হতাশার কোনো কারণ নেই। তাদের ভালোবাসা স্নেহ দিয়ে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, সমাজের সচেতন মানুষকে প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এদের প্রতিবন্ধী নয়, জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইব্রাহিম আল মামুন মোল্লা। সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন আরডিএসএ, সুনামগঞ্জ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুল হক সরকার।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্য নুরুর রব চৌধুরী, সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, উন্নয়নকর্মী মো. জাহাঙ্গীর আলম, টিপিপিএস-এর সভাপতি তাজুল ইসলাম তারেক, নুর উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়। পরে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।