সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিদ্যুতের বিল ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে প্রি-পেইড মিটার ইতিমধ্যে চালু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ দেশের পরিকল্পিত সব স্থানে গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে বর্তমান বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৬৭ লাখ। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ লাখেরও বেশি গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে ৬৩ লাখে উন্নীত করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।
সূত্র আরো জানায়, দেশে দুই কোটি ৬৭ লাখ গ্রাহকের মধ্যে দুই কোটি মিটারের বিল তুলতে ২২ হাজার লোকের প্রয়োজন হয়। এ গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে পারলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করতে হবে না। এর ফলে বিদ্যুৎ কো¤পানির কোটি টাকা সাশ্রয়সহ বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ ও গ্রাহকদের বাড়তি অর্থ দিতে হবে না। এছাড়া গ্রাহকরা কেউ রিচার্জকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। গ্রাহকদের রিচার্জকৃত টাকা দ্রুতই পেয়ে যাবে মোবাইল কো¤পানি।
গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার দেওয়া হলেও অপ্রতুল ভেন্ডিং স্টেশনের কারণে বিল পরিশোধে হয়রানির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে গ্রাহকদের। এসব সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।
প্রিপেইড মিটার কার্যক্রমটি মনিটরিং করছে মেসার্স আইডিয়াল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রিপেইড মিটারের সফটওয়্যার আপটেড করাসহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজে বিদ্যুৎ বিতরণ কো¤পানিগুলো নিজস্ব লোকবল নিয়োগ করতে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বেশি বিল, বিল পরিশোধে ভোগান্তি, বিদ্যুৎ চুরি এবং বকেয়া বিলসহ নানা অনিয়ম-হয়রানি দূর করতে দেশের সব বিতরণ কো¤পানির আওতাধীন গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার দেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পরামর্শক সংস্থা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, যে কোনো নতুন বিষয় গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলোর সমাধান করে একটি সিস্টেম পুরোপুরি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ খাতে একটি বড় অগ্রগতি হবে। ২০২১ সালের মধ্যে সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার সরবরাহের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।