সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মেয়াদ শেষে অথবা আগাম- যে সময়েই নির্বাচন হোক, সংসদ ভেঙেই নির্বাচন চায় বিএনপি। শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ দলের এই অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, “আগাম নির্বাচন হোক আর সংসদের মেয়াদ পূরণ করার পরে হোক- কোনো নির্বাচনই বাংলাদেশে হবে না, তার একমাত্র প্রধান পূর্বশর্ত হলো সংসদ ভেঙে দিতে হবে।”
“সরকারকে বলব, আসুন আগাম নির্বাচন দিন, সংসদ ভেঙে দিন। আমরা নির্বাচন করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যেকোনো সময় আপনারা নির্বাচন দেবেন আমরা অবশ্যই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করব যদি একটি সুষ্ঠু নির্দলীয় নির্বাচন হয়।”
আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে মওদুদ আহমদ বলেন, “আমি মনে করি, তারা (সরকার) আগাম নির্বাচন দেবে না। তারা একেবারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে আমাদেরকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু যেখানেই নিয়ে যান না কেন নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এটা হবে প্রথম শর্ত। এরপর হবে কিভাবে আমরা নির্বাচন করতে পারি।”
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সারা দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আগামী নির্বাচন একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে দেখতে চায় যাতে করে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং দেশের মানুষ নিজের ইচ্ছায় ভোট দিতে পারে।”
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে ‘মহান বিজয় দিবস ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, “সাতদিনের জামিন এটা কল্পনা করা যায়? যে জামিন হাই কোর্ট দিয়েছেন, সেই জামিন নিচের কোর্ট সীমিত করে সাতদিনের জন্য করেছেন- এটা কল্পনা করা যায়? এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনা দেশে ঘটছে, এরকম প্রত্যেকটি ঘটনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে।”
সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাগপার সভাপতি রেহানা প্রধান, ভাসানী ন্যাপ সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ স¤পাদক সাঈদ আহমেদ, ডিএলের সাধারণ স¤পাদক সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।