ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামে শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজনদের লাঠি ও কিল-ঘুষির আঘাতে আবু তৌহিদ জুয়েল (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার কাকিয়াম গ্রামে। আবু তৌহিদ জুয়েল পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই হত্যাকা-ের ঘটনায় ওইদিন বেলা পৌনে তিনটার দিকে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাকিয়াম গ্রামের আবু তৌহিদ জুয়েলের (৪০) পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৮)-এর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির সীমানা নিয়ে আবারও আবু তৌহিদ জুয়েল ও আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে বাড়ির সামনে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুর রাাজ্জাক ও তাঁর লোকজনদের লাঠি ও কিলঘুষির আঘাতে আবু তৌহিদ জুয়েল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন তাঁর পরিবারের স্বজনরা। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সকাল ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু তৌহিদ জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু তৌহিদ জুয়েলের আপন চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, আব্দুর রাজ্জাক তাঁর লোকজন নিয়ে লাঠি দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা ও কিলঘুষি মারার কারণেই জুয়েলের মৃত্যু হয়েছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওইদিন বেলা পৌনে ৩টার দিকে পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার রাণীগাঁও গ্রাম থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) ও হেলিম মিয়া (৫৫) নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।