স্টাফ রিপোর্টার ::
সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী দুর্গাবাড়ি কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে মন্দির অঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কার্য পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু।
সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন-এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ধূর্জ্জটি কুমার বসু, যোগেশ্বর দাস, দীপক ঘোষ, অভিজিৎ চৌধুরী, করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জ্যোতিরিন্দ্র চৌধুরী, নির্মল ভট্টাচার্য, স্বপন দাস, চঞ্চল কুমার লোহ, অনুপ কান্তি চক্রবর্তী, সন্তোষ পুরকায়স্থ, অরুণ দে, বিজয় তালুকদার, সরোজ চক্রবর্তী, রতœাংকুর দাস, বিমান কান্তি রায়, ঝন্টু তালুকদার, প্রদীপ কুমার দাস, বিধান চন্দ্র দাস, সত্যজিৎ দাস, প্রভাকর চক্রবর্তী, অনুপ চৌধুরী অপু, গৌরাঙ্গ বণিক, তাপস দাস, লিটন দেব, অনিমেষ পাল ভানু, মিন্টু চৌধুরী, অমল চৌধুরী হাবুল, নরেন ভট্টাচার্য্য, বিমল কৃষ্ণদাস, মিঠুন রঞ্জন দাস, সৌরভ সরকার, বিভাস দেব, কানু পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, নূপুর চৌধুরী, ঝন্টু ভূষণ সরকার।
সভায় দুটি দুর্গাপূজা, একটি বাসন্তী পূজার আয়-ব্যয়ের হিসাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বর্তমান কার্য পরিচালনা কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে দুর্গা মন্দিরের গেইট নির্মাণ, গভীর নলকূপ স্থাপন, বেসিন ও ট্যাংকিসহ পানীয় জলের সুব্যবস্থা, মন্দিরের দক্ষিণের দেয়াল ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই কমিটির মেয়াদে ডি. চৌধুরী অসিতের অর্থায়নে শিব মন্দির, ভোগ মন্দির ও পুরোহিতের জন্য একটি ঘর নির্মিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ দুটি সোলার প্যানেল স্থাপন করে দিয়েছেন। এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই নাট মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
সভায় মন্দিরের কার্য পরিচালনায় আয়-ব্যয়ের হিসাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী তার বক্তব্যে মন্দিরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার জন্য সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ও বিবেকানন্দ স্টাডি এন্ড ফিলান্ত্রপিক সেন্টার আমেরিকা, নিউইয়র্কের সভাপতি প্রকাশ চক্রবর্তীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় সম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্র তৈরি ও নাট মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।