1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গত বছরের চেয়ে ধীরে নামছে নদী ও হাওরের পানি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

মাহমুদুর রহমান তারেক ::
এবছর গেলবারের চেয়ে ধীরগতিতে সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীর পানি নামছে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি সমতল পরিমাপে এ তথ্য উঠে এসেছে। পানি ধীরগতিতে নামার জন্য কয়েকটি বিষয়কেও চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে হাওরের পানি ধীরগতিতে নামায় বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজেও বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে সুরমাসহ নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি পরিমাপ করা হয়। সুরমা পয়েন্টে পানির সমতল পরিমাপ ছিল ৪.৪১মিটার (পিডব্লিউডি), রক্তি নদীতে ৪.১৫ মিটার ও বৌলাই নদীতে ৩.৯১মিটার। গত বছর ৩০ নভেম্বর সুরমা পয়েন্টে পানি ছিল ৪.২০ মিটার। এবার একইদিনে সুরমা পয়েন্টে ০.২১ মিটার বেশি ছিল, অন্য দুটি পয়েন্টেও একই অবস্থা।
পাউবো পানি ধীরগতিতে নামার জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে। এগুলো হল- এবছর উজান থেকে বেশি পরিমাণ পানি আসা, পানির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পলি আসা, নদী ও হাওরের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, জেলার ১১টি উপজেলার পাইপ স্লুইস ও রেগুলেটার ৭৪টির মধ্যে অর্ধেকের বেশি বিকল হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন নদীর ও খালের উৎস ও নিষ্কাশন মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
এদিকে হাওরের এমন অবস্থায় জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের হাওরে পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতি উপজেলার জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে ধর্মপাশা উপজেলার জন্য ৪ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজের জন্য হাতে রাখা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
হাওরের পানি ধীরগতিতে নামায় বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজও বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়াও তারা বলছেন, বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণের জন্য তাদের পানি নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরের কৃষক আবরার হোসেন বলেন, প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকেই পানি নামতে শুরু করে। কিন্তু এ বছর তার উল্টো। বীজতলা তৈরির সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু পানি নামছে না। আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। হাওরের যে অবস্থা পানি নামতে নামতে ডিসেম্বর মাসই হয়তো চলে যাবে। আর বাঁধের নির্মাণ কাজ কখন শুরু হবে বুঝতে পারছি না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফুলভরি গ্রামের এলেমান হোসেন বলেন, পানি নামতে দেরি হলে ধান চারা রোপণ করতেও দেরি হবে। বাঁধ নির্মাণে সময় কম পাওয়া যাবে। যদি গত বছরের মত এবারও আগাম বন্যা আসে তাইলে ফসল ঘরে তোলা যাবে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের এখনই জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, জেলার তিনটি পয়েন্টে বৃহস্পতিবার পানির সমতল পরিমাপ করা হয়েছে, যা গত বছরের একই দিনের চেয়েও বেশি। হাওরের পানি পুরোটা নামতে ডিসেম্বর মাস চলে যাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। একারণে আমরা কৃষকদেরকে দ্রুত ফলন ঘরে তোলা যায় এমন ধান রোপণ করতে উৎসাহিত করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com