বিশেষ প্রতিনিধি ::
বিএনপি’র রাজনীতিতে ‘শীর্ষ সংস্কারপন্থী’ নেতা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন এখন আবারো আলোচনায়। বঞ্চনা ও উপেক্ষার পর জেলা বিএনপি’র কার্যনির্বাহী কমিটিতে তাঁকে স্থান দেওয়ার পরই তিনি নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছেন। এখন নির্বাচনী এলাকায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এককালের তাঁর সমর্থিত নেতাদেরই প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে নজির হোসেনের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি মাঠে নেমেছেন। জেলা বিএনপি’র নেতাদেরও কেন্দ্রের ওই নেতারা নজির হোসেনকে সহযোগিতার কথা বলেছেন। তবে নজির হোসেনের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-১ আসনের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে দলের অন্তত অর্ধডজন প্রার্থী রয়েছেন যারা আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী। এককালের নজির হোসেনের ঘনিষ্ঠ এই নেতারা তাকে এড়িয়ে এখন নিজেরাই মাঠ সরগরম করে রেখেছেন। সম্প্রতি ধর্মপাশায় নজির হোসেনের সভাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি হয়। নজির হোসেনের বিপক্ষে এই আসনের গেলবারের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ডা. রফিক চৌধুরী’র সমর্থকরা পাল্টা কর্মসূচি পালন করায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। যার ফলে নজির হোসেন কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। নজির হোসেন বিরোধীদের অভিযোগ- কিছুদিন আগে বিএনপি’র তাহিরপুর সদস্য সংগ্রহ অভিযান থেকে উপজেলার শীর্ষনেতারা বেরিয়ে এসেছিলেন। জানা গেছে, দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি চালাতে গেলে অন্যান্য উপজেলায়ও বিরোধীদের এভাবে বাধার মুখে পড়তে পারেন নজির হোসেন।
গত ২৭ নভেম্বর ধর্মপাশায় ১৪৪ ধারা জারির পর উপজেলা সদরে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন ডা. রফিক চৌধুরী’র সমর্থকরা। এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইশতিয়াক আলম চৌধুরী স্বপন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব সংস্কারপন্থী নেতা নজির হোসেন আমাদের সমাবেশস্থলে পাল্টা সমাবেশ ডেকে ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচি ভ-ুল করেছেন। তিনি উপজেলা বিএনপি’র সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই কতিপয় সংস্কারপন্থীদের নিয়ে কর্মসূচি আহ্বান করেছিলেন। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংস্কারপন্থীদের সাধারণ ক্ষমা করার সুযোগে এখন দলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন নজির হোসেন।
এ ব্যাপারে নজির হোসেন বলেন, ধর্মপাশায় এক মাস আগেই জেলা বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছিল। আমি জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র সঙ্গে সমন্বয় করেই কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজন নেতাকর্মী প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে ১৪৪ ধারা জারি করে কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই আমি কেন্দ্রীয় নির্দেশে মাঠে কাজ করছি।