লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে তা ৮০-৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে বিক্রেতারা যেমন খুশি তেমন দাম হাঁকছেন। একেক দোকানে দাম একেক রকম।
পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিতে। কোনো কোনো বিক্রেতারা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা করে প্রতিকেজি বিক্রি করছেন বলে জানাগেছে।
আরো জানা গেছে, ভারতে পেঁয়াজের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় সেখানেও দাম বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর করা হয়েছে। তবে ওই দরে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার আগেই দেশের ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসার পর দাম যে আরো বাড়বে না, এ নিশ্চয়তাও নেই। কারণ বাংলাদেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে, আমদানি করা পণ্যের দাম কোথাও বেড়েছে জানতে পারলেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেওয়া। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে একেবারে উদাসীন বলে মনে হয়। টিসিবিকে সক্রিয় করে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। এছাড়া দেশে তো পুরনো দরে আমদানি করা পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে। পুরনো দামে আমদানি করা পেঁয়াজ কেন বাড়তি দামে বিক্রি হবে, সে বিষয়েও দেখভাল করার কেউ আছে বলে মনে হয় না। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের বাজার একচেটিয়া ব্যবসায়ীদের হাতেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেঁয়াজের দামে ক্রেতারা বিক্রেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এই জিম্মি দশা থেকে ক্রেতারা মুক্তি পেতে চান। এজন্য প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ।