সরকারি উদ্যোগে জেলার ফসলহারা কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। কিন্তু তাতেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাস্তবতায় দেখা যায় একই পরিবারে একাধিকজন কার্ড পেয়েছেন। বিশেষ করে শাল্লা উপজেলার ইউনিয়নগুলো থেকে অনিয়মের অভিযোগ বেশি। ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকই সরকারের কৃষি সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকা প্রস্তুতের কাজও চলছে কচ্ছপ গতিতে। যার ফলে বীজ ও সার বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ মন্থর গতিতে বীজ-সার বিতরণে বিলম্ব হওয়ায় তা কতটুকু জমিতে প্রয়োগ করতে পারবেন সে বিষয়েও তারা সন্দিহান। কারণ বীজ রোপণের সময় চলে যাচ্ছে।
শাল্লা উপজেলায় কৃষি সহায়তা কার্ড অনেক কৃষকের হাতে থাকার পরও তালিকায় নাম না থাকায় তারা বীজ ও সার সংগ্রহ করতে পারেন নি আজ পর্যন্ত। এ সব অনিয়মের অভিযোগ বঞ্চিত কৃষকরা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও এর কোন সুরাহা হয়নি। শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উপর। চেয়ারম্যানদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষি সহায়তার সার-বীজ বিতরণ করবেন। কিন্তু উপজেলা কৃষি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত পাল্টে উপজেলা সদর থেকেই ধীরগতিতে বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ফলে দূরদূরান্ত ইউনিয়ন থেকে কৃষক বীজ ও সার নিতে এসেও সময়মতো তা পাচ্ছেন না।
আমরা জানি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। কিন্তু যারা সরকার গৃহিত নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন তাদের মধ্যে যদি নানা বিষয়ে ঘাটতি থাকে তাহলে ওই সকল উন্নয়ন কার্যক্রম সফলে বিঘœ সৃষ্টি হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার গৃহিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরো আন্তরিক হবেন। সেই সাথে সরকারি বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতি বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।