স্টাফ রিপোর্টার ::
লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গেল এক মাসের ব্যবধানের পেঁয়াজের দাম উঠা-নামা করেছে অনেকবার। কিন্তু এবার যেন তা লাফিয়ে বেড়েছে। গেল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ছিল ৫৫ -৬০ টাকা টাকা। কিন্তু শনিবার থেকেই দাম বেড়ে তা হয়ে যায় ৮০-৮৫ টাকা। খুচরা বাজারে যেন আরো লাগামহীন।
রোববার শহরের বিভিন্ন পেঁয়াজের দোকান ও আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা ও ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ও ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯৫ টাকায়। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করছে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শাহিন রহমান বলেন, পেঁয়াজ এখন সোনা হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে কিছুটা কমলেও এখন আবার বেড়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেই।
তারমতোই আরেক ক্রেতা মোস্তফা আহমদ বলেন, পেঁয়াজ কিনলাম আধা কেজি। দাম যে হারে বাড়ছে কয়েকদিন পরে পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়েই দিতে হবে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, আমরা ইচ্ছা করে দাম বাড়াই না। আমরা যেখান থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসি সেই জায়গায় পেঁয়াজ নেই। পেঁয়াজের দাম আরো ১০-১৫ দিন বাড়তি থাকবে। তিনি জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না।
পেঁয়াজ কিনতে আসা মিঠু রায় বলেন, ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে পেঁয়াজ সরিয়ে নিচ্ছেন বাজার থেকে যাতে করে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। চার্টে পেঁয়াজের দাম লিখা ৬৫ টাকা কিন্তু এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।