স্টাফ রিপোর্টার ::
মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল কমনওয়েলথ ইয়ুথ সামিট ২০১৭। এতে বাংলাদেশের হয়ে ২৫ জন তরুণ অংশ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে সুনামগঞ্জের মাহবুবুর রহমান জনি অন্যতম। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের জেইল রোড এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের সন্তান।
গত ৩ নভেম্বর মালয়েশিয়ার নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রিন্স চার্লস। ৩ দিনব্যাপী এ সম্মেলন লিমককউইং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয় ৫ নভেম্বর।
সম্মেলন স¤পর্কে মাহবুবুর রহমান জনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক সম্মানের ও বিশাল দায়িত্ব। এই কাজ ভালোভাবে করতে পারায় অনেক ভালো লাগছে। কমনওয়েলথ যুব সম্মেলনে আমার আলোচ্য বিষয় ছিল “ডিজিটাল ইকোনমি ও এন্ট্রপ্রনারশিপ।” জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়, বিশেষ করে টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের উপর তিনি তার বক্তব্যে জোর দেন।
মাহবুবুর রহমান জানান, সম্মেলনে যোগদানের পর প্রথমদিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা বিষয়ে নানা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সবার মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ও ভুল ধারণা ছিল। প্রথম সুযোগেই আমরা দলীয়ভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রকৃত অবস্থা সবার সামনে তুলে ধরি। যার ফলে পুরো তিনদিন ছিল বাংলাদেশের জয় জয়কার। প্রতি বক্তা পরবর্তীতে তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের কথা একবার হলেও তুলে ধরেন।
সম্মেলন স¤পর্কে মাহবুবুর রহমান জনি আরো জানান, লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে আমাদের স্বাগত জানানো হয়। এরই মধ্যে রয়েল হাইনেস প্রিন্স চার্লস অনুষ্ঠানস্থলে এসে হাজির হন। সম্মেলনের উদ্বোধন ও স্বাগত বক্তব্য শেষে প্রিন্স চার্লস সবাইকে অবাক করে প্রতিটি টেবিলে এসে যুবনেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কিছু সময় আলোচনা করেন। পরিচয় পর্বে করমর্দন শেষে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ হয়েছে আমার।
বাংলাদেশের থেকে অংশ নেওয়া আরো উল্লেখযোগ্য তরুণরা হলেন পাভেল সরোয়ার, সুমাইয়া জাফরিন, রেজওয়ানুর রহমান ও রিদুয়ানুল হক।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, ভিশন ২০২১ ও রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেন। যা সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। সেই সুবাধে পরবর্তীতে তারা রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটির ¯েপশাল ডিনারের আমন্ত্রণ পান। পরদিন কমনওয়েলথ ইয়ুথ ফোরাম শুধুমাত্র বাংলাদেশের তরুণ নেতাদের লাঞ্চে নিমন্ত্রণ জানায়।
এছাড়াও বাংলাদেশের এই পাঁচ জন তরুণ নেতা বিশ্ববিখ্যাত গুগল, মাক্রোসফট (২বার), আজিয়াটা হেডকোয়ার্টার (রবি), ইন্টেল কর্পোরেশন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভিজিট ও মিটিংয়ের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং একসাথে বিভিন্ন কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন। যা দেশের তরুণ সমাজের জন্য সুখকর বার্তা বয়ে আনবে।