ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার বাদে মধ্যনগর দিঘর জলমহালের অন্তর্ভুক্ত রূপেশ্বর নদীতে অবৈধভাবে ঢুকে মাছ শিকার করার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাত জনকে ওইদিনই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী, আরিফপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদে মধ্যনগর দিঘর জলমহালে মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গলহা গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ সরকারের নির্দেশে তাঁর নিয়োজিত লোকজন বেশ কয়েকমাস ধরে সেখানে অবৈধভাবে ঢুকে মাছ শিকার করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পরিতোষ সরকার সমর্থিত ৭/৮জন লোক অবৈধ মশারি জাল দিয়ে উপজেলার বাদে মধ্যনগর দিঘর জলমহালের অন্তর্ভুক্ত রূপেশ্বর নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরতে ওই জলমহালের পাহারাদারের বাধা দেওয়ায় এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে অন্তত ১৫জন আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত রহমান মিয়া (৫৫), সজীব মিয়া (২২), আনোয়ার (২০), জসিম মিয়া (৩০), মামুন (২৫), সিদ্দিক (৫৫), জয়নাল(৩০) এই সাতজনকে ওইদিনই স্থানীয় ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যরা সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মধ্যনগর ইউনিয়নের আরিফপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও জলমহালটির ইজারাদার আব্দুল আজিজ বলেন, জলমহালটি সরকারের কাছ থেকে আমরা বৈধভাবে ইজারা এনেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা পরিতোষ সরকারের নির্দেশে তাঁর লোকজন বেশ কয়েকমাস ধরে অবৈধভাবে জলমহালে ঢুকে ও আমাদের নিয়োজিত পাহারাদারদেরকে মারধর করে সেখান থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের চরম সর্বনাশ হচ্ছে।
মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরিতোষ সরকার বলেন, আমার নির্দেশে ওই জলমহালে মাছ ধরা হয়নি। এতে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। স্থানীয় জেলেরা জলমহালের সীমানার বাইরে মাছ ধরছিল। আর এতে বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম নেওয়াজ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। দুই পক্ষের মধ্যে এখনও কোনো পক্ষই থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।