৩০ কেজি পরিমাণ বস্তা করার পরও সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলহারা কৃষকদের বিশেষ ভিজিএফ বিতরণের দুর্নীতি থামানো যাচ্ছে না। বস্তা খুলে সেখান থেকে কমিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ প্রকাশ্যেই দ্বিতীয় মেয়াদের ৩০ কেজি ওজনের বস্তা খুলে চাল কমিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া অনেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে রাতেও চাল বিতরণ করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানায়, গত এপ্রিল মাসে সরকার হাওরের দেড় লাখ কৃষককে তিন মাসের জন্য ৩০ কেজি চাল ও ৫শ টাকা বিশেষ ভিজিএফ চালু করে। প্রথমে ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় সুবিধাভোগীদের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বস্তা খুলে ৩০ কেজির বদলে ২০-২২ কেজি করে ইতোপূর্বে চাল বিতরণ করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনের পাশাপাশি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে। এই বিশেষ ভিজিএফে অনিয়ম হওয়ায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সতর্ক করার পাশাপাশি বরাদ্দ ফেরতের নির্দেশনাও দিয়েছে। ৩০ কেজি চাল ও ৫শ টাকা বিতরণের প্রথম দফা মেয়াদ গত মাসে শেষ হবার পর চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লাগামহীন অনিয়ম থামাতে সরকার ৩০ কেজি করে চালের বস্তা সুবিধাভোগীদের অনুকূলে বিতরণের জন্য খাদ্যগুদামে সরবরাহ করে। বিভিন্ন ইউনিয়নে এই ৩০ কেজি ওজনের চাল ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে এই বস্তা খুলেও চাল কমিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
৩০ কেজি বস্তা করার পরও সেটা খুলে ৪-৫ কেজি চাল কমিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সচেতন সুবিধাভোগীদের অনেকে অভিযোগ করলে আগামীতে তাদের নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরাগভাজন না হতে ওজনে কম মেনে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ওজনে কম দেয়ার যেসব অভিযোগ রয়েছে, এসব অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।