স্টাফ রিপোর্টার ::
চোরাচালানের মালামাল জব্দ নিয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের কাজির পয়েন্ট এলাকায় দুই বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
চোরাই পথে আসা ভারতীয় মালামালের একটি চালান শহরতলির ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে জব্দ করে বিজিবি। জব্দকৃত মালামাল অটোরিকশায় করে শহরের নবীনগর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিজিবি’র ওই চার জওয়ান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের কাজির পয়েন্টে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ভারতীয় মালামাল বোঝাই অটোরিকশার গতিরোধ করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক। পুলিশের এ কর্মকর্তা গাড়ি থামিয়ে ভেতরে কি দেখতে চাইলে মালামালের সাথে থাকা সাদা পোশাকের কয়েকজন জওয়ান তাদের পরিচয় দেন এবং গাড়ি তল্লাশি করতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চালককে গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা সাদা পোশাকের জওয়ানদের পরিচয় সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে গাড়ির মালামাল তল্লাশি না করে ছাড়বেন বলে তাদের জানান। এতে বিজিবির জওয়ানরা ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তেড়ে আসলে পুলিশ ও বিজিবি’র সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
পুলিশ ও বিজিবি’র মধ্যে ধস্তাধস্তির এই ঘটনা শত শত মানুষ প্রত্যক্ষ করেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তাদের মধ্যকার ধস্তাধস্তির দৃশ্য। খবর পেয়ে উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিষয়টি মিটমাট করে দেন। পরে জব্দ করা মালামাল বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজিবি-২৮ সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমেদ পিএসসি জানান, দুই বাহিনীর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ সুপার ও আমার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি কাজ করতে গেলে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং পরে মিটমাটও হয়ে যায়। আমাদের মাঝে সমন্বয়ের কোন কমতি নেই।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র জব্দকৃত মালামাল আটক নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।