1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওরের কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে কমবেশি সব উপজেলায়ই আমন চাষ হয়ে থাকে। তবে বেশি চাষ হয় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার এবং ছাতক উপজেলায়। জেলায় দুই লাখ আমনচাষী রয়েছে। চলতি মওসুমে ৬১ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও ঢল ও বর্ষণের আগ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ২৭ হাজার ৩৩৭ হেক্টর। এর মধ্যে ১১ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত নামা টানা ঢল ও বর্ষণে জেলার এসব উপজেলার রোপনকৃত আমন জমি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ২২৩ হেক্টর জমি। সংশ্লিষ্টরা বাকি জমি চাষ করার কথা বললেও বাস্তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোপা আমনের জমির সঙ্গে বীজতলাও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। তাই আমনক্ষেত এবার পতিত থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষক। কিছু সচ্ছল কৃষকের কাছে ‘নাভিজা’ বীজ থাকলেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের কাছে সেই বীজ নেই বলে জানা গেছে।
কৃষি বিভাগের মতে জেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬১০ হেক্টর বীজতলা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৭ হেক্টর বীজতলা তৈরি হয়েছিল। সূত্রমতে পাহাড়ি ঢলে ১২ হাজার হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত বীজতলা লাগানোর সময় এখনো রয়েছে বলে কৃষকদের জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় এবং বিএডিসি’র সরকারি বীজ গুদামে বীজ না থাকায় বীজতলা তৈরির পথ খোলা নেই কৃষকের সামনে। এই অবস্থায় কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিলম্বে চাষ হয় (নাভিজা) দেশি প্রজাতির চিনাশাইল, নাজিরশাইল, মালতি, চেঙ্গের মুড়ি, কালোজিরা, চাপলাশ, বিরুইনসহ বেশ কিছু ধানের দেশি বীজ অনেক সচ্ছল কৃষকের সংগ্রহে রয়েছে। সেই বীজ লাগানো হলে অবশিষ্ট জমি ও নষ্ট হওয়া জমি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোপা আমন লাগানো যাবে। এতে ফলন কিছু কম হলেও কৃষকদের ক্ষতির মাত্রা কমবে বলে সূত্র জানায়। তাছাড়া বিআর ২২, ২৩, ব্রি ৪৬ ও বিনা ১৬ উফশি ধানও বিলম্বে লাগানো যায়। এখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিজের সংগ্রহে থাকা এই ‘নাভিজা’ ধানবীজ তৈরির আহ্বান জানান।
ধান লাগানোর শেষে ঢলের পানিতে ফসল ও বীজতলা তলিয়ে নেওয়ায় এবং বিএডিসির কাছে আমনের কোন বীজ না থাকায় উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগ। তাই স্থানীয় কৃষকদের কাছে থাকা ‘নাভিজা’ (বিলম্বে ফলে স্থানীয় জাত) বীজই এখন কৃষি বিভাগের কাছে ভরসার নাম। সংশ্লিষ্টরা পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে এই বীজ নতুন করে লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ এলাকা থেকেও বীজগাছ আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এবার তলিয়ে যাওয়া হাওরের ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘নাভিজা’ ধানবীজ তৈরির যে আহ্বান জানানো হয়েছে, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়াতে হবে এবং কৃষকদের পাশে থেকে আগামী ফসল সঠিকভাবে উত্তোলনে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই ধানের ভাল ফলন হবে। সুদিন আসবে হাওরপাড়ে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com