স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
সহকারি কমিশনার আমিমুল এহসান খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, সাবেক পিপি অ্যাড. শফিকুল আলম, অ্যাড. রইস উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজাদ, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে বিশ্বাস করতেন বলেই তিনি গণভবনে থাকেননি তিনি তার ধানম-ির বাসায় থেকেছিলেন। কিন্তু তার কাছের মানুষেরাই তার বিশ্বাসে আঘাত নিয়ে এসে তাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। পৃথিবীর কোথাও এরকম নৃশংস হত্যা হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের শাস্তি হয়েছে। আরো কিছু বাকি রয়েছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না। আজকে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বে একটি অনন্য নক্ষত্র হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার তার এই স্বপ্ন বাস্তব করার আগেই তাকে ও তার পরিবারকে খুন করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তার কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে ছিলেন বলেই তাঁরা বেঁচে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর উন্নত রাষ্ট্র স্বপ্নকে তার কন্যা শেখ হাসিনা পূরণ করতে চলেছেন। আমাদের সবার প্রয়োজন এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করা।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিরতণ করা হয়।