ঠিকাদার নয়, কৃষকদের নিয়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণের দাবি উঠেছে। বাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙে হাওরের ফসলহানির ঘটনার পর থেকে কৃষক-জনতা এ দাবি জানিয়ে আসছেন। বৃহ¯পতিবার বিকেলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার এফআইভিডিবি’র সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আবারও এ দাবি উত্থাপন করেন জনপ্রতিনিধি ও সুধীজন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম এ বিষয়ে কৃষক-জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘সকল জনপ্রতিনিধি ও গ্রামের কৃষকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ যদি পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করতো তাহলে অকাল বন্যায় তাদের ফসল তলিয়ে সুনামগঞ্জবাসীকে দুর্যোগে পড়তে হতো না। আগামীতে যাতে সুনামগঞ্জবাসী দুর্যোগে পড়তে না হয়, সেই লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী দিনে বাঁধ নির্মাণের টাকা উপজেলা পর্যায়ে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে। সরকারের কাছে ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে সকলের অংশগ্রহণে পিআইসি’র মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের দিয়ে আগামী দিনে সুনামগঞ্জ জেলার সকল হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ সময়মতো স¤পন্ন করা যায়। কোন কোন জায়গায় জরুরিভিত্তিতে কাজ করতে হবে ও হাওরের কোন জায়গা অতিগুরুত্বপূর্ণ নদী-খননসহ বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন, সমস্যা এবং সম্ভাবনা সেই সকল কাজের বিষয়ে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে পাঠাতে হবে। শুধু বাঁধ নির্মাণ করলেই চলবে না, পানি নিষ্কাশনের জন্য নদী ও বিলগুলো খনন করতে হবে। আপনাদের ভরাট হয়ে যাওয়া নদী-খাল ও বিলের সঠিক তালিকা আমাদের দিতে হবে।’ জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্য স্বস্তিদায়ক। এ অনুযায়ী যথাযথভাবে বাঁধ নির্মাণ হলে দুর্নীতি অনেকটা কমে আসবে।