স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভাপতি, সাপ্তাহিক গ্রামবাংলার কথা পত্রিকার সম্পাদক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। সুনামগঞ্জের উন্নয়নে, সুনামগঞ্জের মানুষের উন্নয়নে তিনি কাজ করেছেন। তিনি কখনো কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করেননি, তিনি সমাজকে শুধু দিয়ে গেছেন।’
প্রয়াত গোলাম রব্বানীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ।
মরহুম গোলাম রব্বানী’র স্ত্রী সংসদ সদস্য অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী’র সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আল হেলাল ও মাসুম হেলালের পরিচালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, বিশিষ্ট লেখক ও সিনিয়র আইনজীবী হোসেন তওফিক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শায়েখ আহমদ, সাবেক পিপি অ্যাড. শফিকুল আলম, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ, সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পঙ্কজ চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, সেলিম আহমেদ, মরহুম গোলাম রব্বানীর কন্যা অ্যাড. কনিজ রেহনুমা ভাষা, বাউল শাহজাহান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা মরহুম গোলাম রব্বানী’র বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তিনি ছিলেন একজন সৎ মানুষ। যিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কখনও সময় কাটাননি। সব সময় তিনি মানুষের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। গোলাম রব্বানী খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন।
স্মরণসভায় কোরআন তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক আমিনুল হক।