মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের নারিকেলতলা নামক স্থানে স্ট্রিল ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি আবারো ধসে গেছে। এতে বন্ধ রয়েছে সরাসরি যান চলাচল।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে ব্রিজের দক্ষিণ দিকের অ্যাপ্রোচের মাটি নিচের দিকে দেবে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যে কারণে জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার দিনব্যাপী অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনে কাদা মাটি ফেলে কিছু ইট বসিয়ে দেয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। গাড়ি চলাচল করতে চাইলে কাদা মাটিতে চাকা দেবে গিয়ে আটকে যায়। ফলে ভাঙনে মাটি ভরাট করা হলেও এখনো সরাসরি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে কাজের দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আবদুর রহিম জানান, আমরা দিনব্যাপী মাটি ভরাট কাজ করেছি। মাটি ভরাট শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য ইট ফেলা হয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না। কাদা মাটি হওয়ায় গাড়ির চাকা দেবে যাচ্ছে। তবে রোববারের মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্থায়ী সমাধান করতে হলে স্ট্রিলের ভেলি বসিয়ে ভাঙনে কাজ করতে হবে। তবে চেষ্টা করা হলেও ভেলি পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে প্রথম এ ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে যায়। অতিবৃষ্টির কারণে ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি নিচের দিকে দেবে গেলে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই সাথে অ্যাপ্রোচের পাশাপাশি পশ্চিম দিকে নদীর ঢেউ ও পানির প্রচ- ¯্রােতে সড়কে ভাঙন দেখা দেয়।
অন্যদিকে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইনের দুইটি খুঁটি। যে কোন সময় খুঁটিগুলো নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও গাছের টুকরো সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্রিজের অ্যাপ্রোচে স্থায়ীভাবে কাজ করতে হবে। সেই সাথে রাণীগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হলে এ ব্রিজের কাছে থাকা নদী ভাঙনের মুখে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিগুলো অন্যত্র নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।