জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ::
ছাতকের জাউয়ায় বোকা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক বসত-বাড়ি। ইতোমধ্যেই কবরস্থান, মিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক বসতঘর ভিটেসহ বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। দিন দিন ভাঙনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। ডজন খানেক পরিবার নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা।
জাউয়া বাজার ইউনিয়নের রাউলি, কৈতক, রাজনপুর, খিদ্রাকাপন, কুমিল্ল¬া বস্তি, জাউয়া বাজার ও লক্ষমসোম এলাকার শতাধিক পরিবার এখন ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টির ফলে নদী ভাঙন ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকায় ভুক্তভোগীরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক লোক জানান, লক্ষমসোম গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামসুল ইসলামের পারিবারিক কবরস্থান, জাউয়া গরু বাজারের ৫-৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খিদ্রাকাপন মৌজায় ১০-১২টি বসত-বাড়ি, রাজনপুরে হাজী আস্তর মিয়ার স-মিল, রাইস মিল, বসত বাড়ি, কৈতক গ্রামের কয়েকটি বসত-বাড়ি, রাউলি গ্রামের বসত-বাড়ি, ফসলি জমি ও বাঁশঝাড় ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। দু’সপ্তাহ ধরে খিদ্রাকাপন মৌজার কুমিল্লা বস্তির বসত-বাড়িতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বস্তির বাসিন্দা রিকশা চালক আব্দুল কাদির, দিনমজুর শাহজাহান, হারুন মিয়া, আব্দুল জব্বার, মোর্শেদ, নজরুল, সমলা বিবি, জাহেদ আলী, বিলালসহ ২০-২৫টি পরিবারের বসত-বাড়ি ভাঙনের মুখে। বোকা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকলে অচিরেই কুমিল্ল¬া বস্তির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৈতক গ্রামের রবীন্দ্র চন্দ্র বলেন, তাদের বসতবাড়ি নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙন রোধে স্থানীয় এমপি বরাবরে আবেদন করা হলে তার পরামর্শ অনুযায়ী সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুলিপি দিয়েও আজ অবধি কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী বোকা নদীর ভাঙন রোধে ভূমি অফিস, সওজ বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডেসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।