সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকার অবৈধভাবে চাল মজুদকারী ১৬ হাজার মিল মালিককে (মিলার) চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার চাল আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পাউবো’র নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে হাওরে ফসলহানির পর গত কয়েক মাস ধরে দেশে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠে। ক্রমেই বাড়ছিল চালের দাম। খাদ্যমন্ত্রী একাধিকবার জানিয়েছেন চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুদ করেছিল। হাওর অঞ্চলে বন্যা হওয়ার পর থেকেই তারা মজুদ শুরু করেছিল। আমরা যে (বোরোর) ক্রয় মূল্য ৩৪ টাকা দিয়েছিলাম, বাজারের দামের সঙ্গে এর বিরাট ফারাক ছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমরা বোরো সংগ্রহ করতে পারিনি।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়ার পর ভারত থেকে চাল আসছে। ভারত যদিও তাদের চালের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও যেভাবে চাল আসছে। যারা আজকে মজুদ করেছিল, এতদিন পর্যন্ত যে সব মিলাররা চুক্তি করেনি। তারা এখন বরং পস্তাচ্ছে। যারা মজুদ করেছিল তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্রমান্বয়ে তারা ছেড়ে দিচ্ছে।
চালের দাম বাড়ানো অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট চিহ্নিত কি করে পেরেছেন? চিহ্নিত হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব মিল মালিকরা অবৈধভাবে চাল মজুদ করেছে, তাদের আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিন বছরের জন্য আমরা তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা চাল ক্রয় করব না।’
এ ধরনের কালো তালিকাভুক্ত করা মিল মালিকদের সংখ্যা ১৬ হাজার বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি অনুযায়ী ২০ হাজার মেট্রিক টনের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ আরও এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল এসে পৌঁছবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া আগস্টে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আনা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
খাদ্য মন্ত্রী জানান, আগামী আগস্টের মধ্যে সরকারের খাদ্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আট থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।