অঞ্জন পুরকায়স্থ ::
নানা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে জামালগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের ১৯৭টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় নিত্য ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা নিতে আসা লোকজনকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিকে ১২৯টি পদের মধ্যে ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য। জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর মধ্যে শূন্য রয়েছে আবাসিক মেডিকেল অফিসার একজন, মেডিকেল অফিসার দুই জন, াইনী বিশেষজ্ঞ একজন, এনেসথেসিয়া চিকিৎসক একজন, ডেন্টাল সার্জন একজন। এছাড়া অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে একজন নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাত জন, দুই জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), দুই জন ফার্মাসিস্ট, একজন রেডিও গ্রাফার, দুই জন অফিস সহকারী, পাঁচ জন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন ড্রাইভার, একজন জুনিয়র মেকানিক্স, একজন সহকারী সেবক, একজন এমএলএসএস, একজন ওয়ার্ড বয়, একজন আয়া, দুই জন কুক, চার জন ঝাড়–দার, একজন নিরাপত্তা প্রহরী, একজন গার্ডেনারসহ ৪০টি পদ শূন্য।
অন্যদিকে, জামালগঞ্জের সাচনা বাজারে অবস্থিত দাতব্য চিকিৎসালয়টি ১৯৭১ সালের পর থেকেই রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাশীপুর গ্রামের পাশে ১৯৭১ সালের প্রতিষ্ঠিত সোনার বাংলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে জনবল শূন্যতার কারণে তালা ঝুলছে। এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, স্যাকমো একজন, ফার্মাসিস্ট একজন ও একজন এমএলএসএস সহ ৪টি পদই শূন্য রয়েছে।
উপজেলার ফেনারবাক, সাচনা বাজার ভীমখালি ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে তিন জন মেডিকেল অফিসার ও তিন জন স্যাকমো পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু থাকার কথা থাকলে ও শুরু থেকেই আহসানপুর ও রামপুর সিএইচসিপি’র পদ শূন্য থাকায় বন্ধ রয়েছে এ দু’টি ক্লিনিক।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, পদ শূন্যতা পূরণে আবেদন করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল নিয়োগ আপাতত স্থগিত। বছরের শেষ ভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে আমাদের হাসপাতালেও নিয়োগ হবে।