1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দেশে উৎপাদিত ধান-চাল দিয়েই শতভাগ চাহিদা পূর্ণ হবে : কৃষিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) দেশে ৩৪৭ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল উৎপাদন হয়েছে। এ পরিমাণ ধান-চাল দেশের শতভাগ চাহিদা মেটাতে সক্ষম। ধান-চাল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন রকম প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর দেশে একটি বন্যা হয়। সরকার বসে নেই, পুনর্বাসনের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা হাত পাতে না, হাত উপুড় করেই দেয়। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজার হতে বিসিআইসি কর্তৃক ইউরিয়া আমদানি করা হয়। বিএডিসি ও বেসরকারি আমদানিকারকদের মাধ্যমে নন-ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়ে থাকে। উপর উক্ত সারসমূহের আমদানি মূল্য এবং ডিলারদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে।
বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়া পর প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। দুর্যোগের পরপরই উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে মাঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা তৈরি করেন এবং উক্ত তালিকা যাচাই বাছাই করে ইউনিয়ন কমিটি, উপজেলা ও জেলা কমিটি অনুমোদন করেন। অনুমোদিত তালিকা ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা কমিটি সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে ক্ষতির মাত্রা নিরূপন করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হলো তুলা। বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজারটি গার্মেন্টস, ৪৫০টি ¯িপনিং মিল, ১৫টি জিনিং কেন্দ্র আছে এবং এ সকল জিনিং কেন্দ্রে প্রায় একশ’টির বেশি জিনিং মেশিন রয়েছে।
আমাদের দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা মেটাতে আঁশতুলা আমদানি করা হয়ে থাকে এবং প্রতিবছর এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনকে ব্যহত করে আমাদের এ বিশাল পরিমাণ তুলা উৎপাদন করা সম্ভব নয়। গত অর্থবছরে দেশে দেড় লাখ বেল আঁশতুলা উৎপাদিত হয়েছে এবং প্রতিবছর তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, তুলা চাষের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী ফসল। ফসলটি উৎপাদন করতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগে। তুলার হাইব্রিড, স্বল্প মেয়াদী এবং বৈরি পরিবেশ (খরা, লবণাক্ত, পাহাড়ি ও চরাঞ্চল) সহনশীল জাত উদ্ভাবন হলে দেশে তুলা চাষ বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com