1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ফসলহারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাকৃতিক স¤পদে ভরপুর হাওর আমাদের মূল্যবান সম্পদ। হাওরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাওরের প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনা করে উন্নয়ন-অবকাঠামোসহ সব ধরনের কাজ করতে হবে। হাওরের একমাত্র ফসলের জন্য নদ-নদী খাল-বিল ও ভরাট হওয়া হাওর খনন করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে খালিয়াজুরী উপজেলা কলেজ মাঠে ফসলহারা কৃষকদের মাঝে নগদ অর্থসহ বিভিন্নসহায়তা তুলে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে খালিয়াজুরীতে পৌঁছেন। ১১টা ৬ মিনিট থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তিনি হাওরের বিভিন্ন বিষয় ও দুর্গতদের সহায়তা নিয়ে কথা বলেন। প্রায় ৪৪ মিনিটের বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী হাওরে বাঁধ তৈরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি। হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নানা সহায়তার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি ব্যাংক কৃষকের ঋণের সুদ অর্ধেক মওকুফ করেছে। স্থগিত করেছে কৃষিঋণ আদায়। আমি শুনেছি এনজিওরা হাওরের দুর্গত কৃষকদের ঋণ আদায়ে চাপ দিচ্ছে। আমি এনজিও ব্যুরোকে নির্দেশ দিচ্ছি যাতে তারা আমার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কাছ থেকে ঋণ আদায় স্থগিত করে।
হাওরবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ঐতিহ্য স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে যুদ্ধ করে টিকে আছে। প্রতিনিয়ত পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওরের কৃষক। একমাত্র ফসল চলে গেলে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ে। তিনি বলেন, আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আমিও ১৯৭৫ সালের এক রাতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এখন আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করছি।
হাওরের কৃষকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। আগামী ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত আপনাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব। আগামী ফসলের জন্য বিনা মূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ দেয়া হবে। অব্যাহত রাখা হবে অন্যান্য কৃষি ভর্তুকি।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ইউনিয়নে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি (ওএমএস) সুবিধা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যত খাবার নষ্ট হয়েছে তা সরবরাহের নির্দেশনা দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ৭০ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি চাল ও ১০০০ টাকা করে ত্রাণ দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না; প্রত্যেক হাওরে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। হাওর রক্ষায় বেড়িবাঁধ করা হবে। নদী ও খাল খনন করা হবে, যাতে পানিধারণের ক্ষমতা বাড়ে। মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে। সবার জন্য গৃহের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আর প্রত্যেক হাওরে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী মাছ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়া ও বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “হাওরাঞ্চলে শুধু ধান চাষ করলে চলবে না। এখানে হাঁস-মুরগি পালন, মাছের চাষ, সবজি উৎপাদন – এসব করতে হবে।
“কৃষকদের কৃষি উপকরণ পেতে সুবিধার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তার জন্য অল্প সময়ে ফসল উৎপাদনে গবেষণাগারে কাজ চলছে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকায় নেত্রকোনাসহ হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে আবারও সরকার গঠনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পানিস¤পদমন্ত্রী আনিসুল হক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com