স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধরকে মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি সদস্যের পিতা অদ্বৈত্য সূত্রধর (৬০) বাদী হয়ে পাগলা শত্রুমর্দন গ্রামের মৃত আব্দুল গণি মিয়ার ছেলে রেজাউল আলম নিক্কুকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার রেজাউল আলম নিক্কু ব্রাহ্মণগাঁও ও শত্রুমর্দন গ্রামের মধ্যে লাওয়া নদীতে নির্মাণাধীন কালভার্টের কাজ সমাপ্ত করেন। কাজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধর কাজের অনিয়ম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিবাদীগণ উক্ত পোস্ট ফেসবুক আইডি থেকে মুছে ফেলার জন্য হুমকি প্রদান করে। পোস্টটি মুছে না ফেলায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধর শত্রুমর্দন গ্রাম থেকে মোটর সাইকেলযোগে পাগলা বাজারস্থ কান্দিগাঁও মসজিদের সামনে পৌঁছলে রামদা, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় ইউপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী কান্দিগাঁও জামে মসজিদে আশ্রয় নিলে মসজিদে ঢুকেও ইউপি সদস্যকে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারী। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন শত্রুমর্দন গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র আরাফাত আলী, ছাত্তার আলী’র পুত্র কামরুল মিয়া, মৃত মনফর আলী’র পুত্র ফারুক মিয়া, মৃত কাচা মিয়ার পুত্র উজির মিয়া, সোনাহর আলীর পুত্র বদরুল আলম টিপু, নাছির আলীর পুত্র সোহেল মিয়া, ঠিকাদার রেজাউল আলম নিক্কু’র পুত্র ইমতিয়াজ আলম শুভ ও ইসতিয়াক আলম পিয়াল, আরাফত আলী’র পুত্র জামান মিয়া, নছির আলী’র পুত্র মুনসুর আলম সুজন, আরাফাত আলী’র পুত্র মনির মিয়া, কাচা মিয়ার পুত্র ডালিম মিয়া, মখলিছ আলী’র পুত্র মিজান মিয়া, রাশিদ আলীর পুত্র ইমরান মিয়া, মুসলিম মিয়ার পুত্র রনি মিয়া, মৃত সোনাই মিয়ার পুত্র আক্কাছ মিয়া, মৃত খুরশিদ মিয়ার পুত্র আ. রহিম, দুলাল মিয়া।
মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আকিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাগলা বাজার এলাকা থেকে মামলার ৮নং আসামি বদরুল আলম টিপুকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আকিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তাধীন আছে এবং আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি বদরুল আলম টিপুকে আদালতে চালান দেয়া হবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।