স্টাফ রিপোর্টার ::
সম্প্রতি জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শপথও নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন নির্বাচিত প্রার্থী। এই নির্বাচলে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা জামিল আহমেদ জুয়েল।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইউনিয়নের দুটি বড়ো সেন্টারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অসহযোগিতা, বিরোধিতা, প্রার্থীতা নিয়ে প্রভাবশালী নেতাদের কারণেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। দুটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের ভোট না পাওয়ায় পরাজিত হয়েছে নৌকা। অথচ ওই দুই সেন্টারে উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ নেতাদের বাড়ি।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। নৌকা প্রর্তীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামিল আহমেদ জুয়েল ২৮শ’র অধিক ভোট পেয়েও পরাজিত হয়েছেন। দেখা গেছে ইউনিয়নের প্রায় সকল সেন্টারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সম্মানজনক ভোট পেলেও শাহপুর ও নয়াহালট সেন্টারে যৎসামান্য ভোট পেয়েছেন জামিল আহমেদ জুয়েল। শাহাপুর সেন্টারে নৌকা প্রতীক মাত্র ৮৮ ও নয়াহালট সেন্টারে নৌকা প্রতীক মাত্র ৫৬ ভোট পেয়েছেন।
জানা গেছে, শাহপুর সেন্টারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিসহ যুবলীগ ও ছাত্র লীগের শতাধিক প্রভাবশালী নেতাকর্মী রয়েছেন। সূত্র জানায়, এই সেন্টারে নৌকার ভোট তিন ভাগের একভাগ পাওয়া গেলেও সহজেই নৌকার প্রার্থী পাস করার কথা। কিন্তু মাত্র ৮৮ ভোট পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
নয়াহালট সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লির একাধিক নেতা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতাদের বাড়ি এখানে। তা সত্ত্বেও নৌকা প্রতীক মাত্র ৫৬ ভোট পেয়েছে এই সেন্টারে। দুটি সেন্টারেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েও নৌকা প্রতীকে ভোট পাননি দলীয় প্রার্থী।
নির্বাচনী বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই দুটি সেন্টারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণেই পরাজিত হয়েছে নৌকা।
এ ব্যাপারে জামিল আহমেদ জুয়েল বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীদের অসহযোগিতা, বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্রের কারণে নৌকার নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা ছিল বলেই সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে ভোট দিয়েছেন। যার কারণে শেখ হাসিনার প্রার্থী হিসেবে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে মানসম্মত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, দুটি সেন্টারে দলীয় ভোট না পাওয়াই আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। অথচ এই দুই সেন্টারে আওয়ামী লীগের এক তৃতীয়াংশ ভোট পেলেই আমাদের প্রার্থীকে আটকানোর সাধ্য কারো ছিলনা। আগামীতে এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।