ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ভাটকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ভূইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল ভাটকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার প্রথম দিন ইংরেজি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ওই ছাত্রী বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ের দিকে রওয়ানা দেয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ভূইয়া হলে প্রবেশ করে ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ছাত্রীটি পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরে তার ভাবিকে বিষয়টি জানায়। পরে ছাত্রীর মা এ বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর থেকে ছাত্রীটি শিক্ষকের ভয়ে আর লজ্জায় পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে যায়নি। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওইদিন বিকেলে বিদ্যালয়ে তদন্তে যান এবং তদন্ত প্রতিবেদন লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ভ্ইূয়াকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া আক্তার খাতুন বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক ছাত্রীর পিঠে থাপ্পড় দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে যৌন হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি (শিক্ষক)।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দৈনিক সুনামকণ্ঠে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।