ধোপাজান-চলতি নদী গিলে খাচ্ছে বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেট। অবৈধ বোমা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীরপাড় কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি এবং বিভিন্ন স্থাপনা। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে নানা অত্যাচার।
বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হলে উচ্চ আদালত নদীতে বোমা ও ড্রেজার মেশিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা মানছে না প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতদিন নদীরপাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন করলেও এবার নদীর তীর কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। কেউ এর প্রতিবাদ করলে সিন্ডিকেটের সদস্যদের হামলার শিকার হতে হয়। জানা গেছে, অবৈধ বোমা ও ড্রেজার মেশিন ব্যবহারে বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রাম, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বালু-পাথর উত্তোলন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। মথুরকান্দি বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিবছর পানি ঢুকে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বেড়িবাঁধের গোড়া থেকে অবৈধ বোমা ও ড্রেজার মেশিনে বালু পাথর উত্তোলন করে অসাধু সিন্ডিকেট। ফলে সামান্য ঢলে বাঁধ ভেঙে যায়। কিন্তু কেউ মুখ খুললে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের স্ট্রিমরোলার। কিছুদিন পূর্বেও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মেহেরাজ মিয়ার ছেলে ও ভাতিজারা এতে বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে সিন্ডিকেটের লোকজন। এখনো তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান-চলতি নদীতে বোমা মেশিন ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। ধোপাজান চলতি নদীরপাড়ে এ মানববন্ধনেও বোমা মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের তীব্র প্রতিবাদ এবং বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে, প্রভাবশালীরা তাদের দাপট দেখিয়ে বালু উত্তোলন করেই চলছে। অবৈধভাবে বোমা মেশিন ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আরও ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হবে। আমরা চাই, ধোপাজান-চলতি নদীতে অনতিবিলম্বে অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার মেশিনের ব্যবহার বন্ধ করা হোক। তাছাড়া এর সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।