স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জের দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৃতীয় হয়েছেন। অন্যটিতে হয়েছেন দ্বিতীয়। আর বিএনপি দুটিতে হয়েছে ৪র্থ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন দলীয় কোন্দল ও প্রার্থীদের ছড়াছড়ির কারণে দুই দলের দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে জয়ী হয়েছে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার। আনারস প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ৩৩৭৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি’র আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান। তিনি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামিল আহমেদ জুয়েল নৌকা প্রতীকে ২৮২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। বিএনপি’র আব্দুল মতিন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৫জন বিদ্রোহী ছিলেন। তারা হলেন মো. আবুল কালাম আজাদ (প্রাপ্ত ভোট ১৮২২ ভোট), মো. জালাল মিয়া (প্রাপ্ত ভোট ৩১১ ভোট), মো. শামছুর নূর (প্রাপ্ত ভোট ২৪৭ ভোট), শারমিন সুলতানা (প্রাপ্ত ভোট ৩৯ ভোট), মো. জাহাঙ্গীর গণি চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ২৬৩ ভোট)।
জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৮৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রজব আলী। নৌকা মার্কা নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নবী হোসেন পেয়েছেন ২৬৪০ ভোট। বিএনপি’র আলী আক্কাস ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৮২৬ ভোট পেয়েছেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবারক আলী (প্রাপ্ত ভোট ৯৮২ ভোট)।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই জামালগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোন্দল তীব্র। প্রতিটি নির্বাচন এলেই কোন্দল আরো তীব্র হয়ে উঠে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেন দলের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। একটি ইউনিয়নে তো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ৫জন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ-উর-রহমান নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন।