ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়া দুর্গত মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকট নিরসনে জেলার বিভিন্ন স্থানে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। খাদ্য চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণে ওএমএস’র চাল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যার পরিমাণে তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতিদিন সকাল থেকে চাল নিতে আসা দরিদ্র মানুষেরা সারাদিন লাইনে কাটিয়ে বিকেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এতে সকল মানুষের মনে নতুনভাবে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
গত সোমবার থেকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা ও আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রির শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ক্রয় করা যাবে। সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মানুষের সুবিধার্থে মঙ্গলকাটা বাজারে, বেতগঞ্জ বাজারে ও টুকগাঁওবাজার এলাকায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একজন ডিলার প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৯ ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারাও প্রতিদিন একজন ডিলার পাচ্ছেন ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা। কিন্তু চালের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় দরিদ্র মানুষ শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন।
খাদ্য সংকট নিরসনে যে পরিমাণে ওএমএস’র চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম। এ জন্যে চালের বরাদ্দ বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। আমরা আশাকরি জনবান্ধব সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় এনে জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করবেন।