1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সাধু সাবধান…

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে পাউবো’র দুর্বল বাঁধ ভেঙে হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। পাউবো, ঠিকাদারদের লুকোচুরি, অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। ফসলহানির ঘটনায় হাওরজুড়ে এখন হাহাকার। কৃষকের কান্নায় হাওরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ফসলহানির ঘটনায় দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দাবি এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জেলার বিবেকবান মানুষ। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি এই আন্দোলনকে নিয়ে নানা কূটকৌশলে লিপ্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা কৃষক-জনতার আন্দোলনকে ‘সরকারবিরোধী আন্দোলন’ বলে প্রচার চালাচ্ছে। প্রকৃতপ্রস্তাবে তারা কৃষকদের বিপক্ষে এবং দুর্নীতিবাজ পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের পক্ষে কাজ করছে।
সুনামগঞ্জে ফসলহানির ঘটনায় গত রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সুধীজনের তোপের মুখে পড়েন পাউবো’র কর্তারা। তারা জনপ্রতিনিধিদের অনেক প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেন নি। উপস্থিত সুধীজনের রোষানলেও তাদের পড়তে হয়েছে। পাউবো’র ওই কর্তা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য পিআইসি’র উপর দায় বর্তানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি হালে পানি পাননি। কারণ বাঁধের কাজে পিআইসি থেকে ঠিকাদারদের বরাদ্দ কয়েক গুন বেশি। ওই সভায় প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান স্পষ্টভাবেই বলেছেন, টাকা যেখানে বেশি, সেখানে ক্ষতির পরিমাণও বেশি। সভায় ঠিকাদারি প্রথা বিলুপ্তির দাবিও জানানো হয়েছে। আমরা এর সাথে একমত পোষণ করছি। এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা একটি গোষ্ঠীর উদরপূর্তির জন্যই ঠিকাদারি প্রথা চালু রয়েছে। কোন ঠিকাদার কোথায় কিভাবে কাজ করে সে বিষয়টি কৌশলে আড়াল করে রাখে পাউবো। প্রতিবছর ঠিকাদাররা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে থাকে। রীতিমতো চলে লুটপাট।
ওই সভায় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেছেন, তুষা শিরনির মতো ঠিকাদাররা বাঁধে মাটি ফেলেছে। কন্টাকটারের নাম বলার দরকার নাই। কন্টাকটার কন্টাকটারই। সে কার ভাই, কার মামাতো ভাই, কার চাচাতো ভাই, কার পার্টনার, দিস ইজ নট ফ্যাক্ট।
তবে এ বিষয়টি এখন ‘ফ্যাক্ট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষক-জনতার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের দোসররা কৃষক-জনতার আন্দোলনকে ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ তারা জানেন এই আন্দোলনে শুধু দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন নয়, ভাই, মামাতো ভাই, চাচাতো ভাই এবং পার্টনারদেরও মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি, সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, অপশক্তির বিরুদ্ধে জনতার আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেভাবে মানুষ সোচ্চার হয়েছেন, তাতে ভয় পেয়েছে ওই অপশক্তি। তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আমরা বলতে চাই, জনতার এই আন্দোলন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো সরকারবিরোধী নয়, এটা হাওরবাসীর দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা এই আন্দোলনের সফলতা কামনা করি এবং দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ পাউবো কর্মকর্তা, ঠিকাদারের দোসরদের বলতে চাই- সাধু সাবধান! জনতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। জনবিরোধী ষড়যন্ত্র করলে হাওরবাসী আপনাদের আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলবে। আপনার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে হাহাকার করবেন। সেদিন আর আপনাদের পাশে কেউ থাকবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com