1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জেলা বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন : বাঁধ নির্মাণের বরাদ্দ হরিলুট করা হয়েছে

  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সরকার ফসল রক্ষার জন্যে বাঁধ নির্মাণে প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা, ঠিকাদার ও স্থানীয় এমপিদের মনোনীত প্রতিনিধি মাধ্যমে পিআইসি গঠন করে সে বরাদ্দ হরিলুট করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার শহরের পূরবী সুপার মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে নাছির উদ্দিন চৌধুরী বাঁধ বাণিজ্যের সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ একটিমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল। এ জেলার কৃষকরা বোরো ফসলকে সামনে রেখেই স্বপ্ন দেখেন আগামী সোনালী দিনের। এ ফসলের উপর নির্ভর করেই নিজের সংসারের বাজেট তৈরি করেন। এ ফসলের টাকায় ছেলে-মেয়ের স্কুলের বেতন, মা-বাবার চিকিৎসাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জেলার গুটিকয়ের মানুষের নিজ স্বার্থের জন্য সুনামগঞ্জের কৃষকদের সর্বনাশ হয়েছে। দিরাই-শাল্লার এমপিসহ অন্যান্য এমপিরা সময়মতো তাদের প্রতিনিধি দিতে পারেননি বলে ডিসেম্বর মাসের বাঁধের কাজ ফেব্রুয়ারিতেও শুরু হয়নি। ফলে কিছু বাঁধে যে মাটি ফেলা হয়েছিল চৈত্র মাসের বৃষ্টির জলে তা বিলীন হয়ে কৃষকের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে।
নাছির চৌধুরী বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্যে এ জেলায় ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বছর সুনামগঞ্জের হাওরে ২ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছিল। এ ফসল যদি কৃষক ঘরে তোলতে পারতেন তবে ৮ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন ধান কৃষকের গোলায় উঠতো। যার মূল্য ২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। চৈত্র মাসের বৃষ্টির জলে সুনামগঞ্জের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ ফসল পানির নিচে চলে গেছে। তাহিরপুরের শনির হাওর ব্যতীত সবগুলো হাওররে বর্ষা চলছে। এ হাওরটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য হাজার হাজার কৃষক নিজ উদ্যোগে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত বাঁধে কোন এমপিকে দেখা যায়নি। পাউবো কর্মকর্তারা বাঁধ রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমরা এ বাঁধ বাণিজ্যের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা দবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণাপূর্বক সারা বছর কৃষকদের কার্ডের আওতায় এনে ১০ টাকা কেজি দরে চালের ব্যবস্থা করতে হবে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচিসহ হাওর কৃষির উন্নয়নে নদী-নালা, খাল-বিল খননে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষকদের কাছ থেকে এবার ব্যাংক এবং এনজিওদের ঋণ আদায় বন্ধ রাখতে হবে। আগামীদিনে ফসল ফলানোর জন্যে তাদেরকে সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে। খোলাবাজারে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে সকল স্থানে। কোনো চাল ব্যবসায়ী যেন বেশি দামে চাল বিক্রি করতে না পারেন, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে প্রশাসনকে।
নাছির চৌধুরী আরো বলেন, এ বছর জেলার কোন কৃষক ফসল ঘরে তোলতে পারেননি। কৃষকের ঘরে ঘরে হাহাকার বিরাজ করছে। সুনামগঞ্জের কৃষকদের বাঁচাতে যারা রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আসুন আমরা সবাই মিলে কৃষকদের পাশে দাঁড়াই। কারণ আমরা সবাই কৃষকের সন্তান। সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আতম মিসবাহ, নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপি’র প্রথম সদস্য নূর হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নূরুল হক আফিন্দী, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল হক, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, দিরাই উপজেলা বিএনপি’র তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মোস্তাক আহমেদ, অ্যাড. সালেহ আহমেদ, অ্যাড. আবুল কাশেম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা শাহ ফরহাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com