স্টাফ রিপোর্টার ::
অবিলম্বে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া তারা ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিচার এবং হাওরাঞ্চলের নদী-নালা ও বিল খননের দাবিও জানিয়েছেন। বুধবার সকালে শহরের আলফাত স্কয়ারে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ দাবিগুলো তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।
ওইদিন সকালে পৌরবিপণি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলফাত স্কয়ারে সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক বিজন সেন রায়, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, নির্মল ভট্টাচার্য্য, নারীনেত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী, ‘হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’র সদস্য ডা. মোর্শেদ আলম, একে কুদরত পাশা, খোরশেদ আলম, কৃষক আব্দুল কাইয়ুম, সাংস্কৃতিক কর্মী সামির পল্লব প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আজ কৃষকের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। আজ জনগণের ভোটজয়ী এমপি-মন্ত্রীরা কোথায়। আজ আমরা কৃষক কেন মাঠে নেমেছি? সুনামগঞ্জের সকল মানুষ জীবন-মৃত্যুর সন্নিকটে। কোথায় জনপ্রতিনিধিরা। আজকে যখন আমরা না খেয়ে মাঠে নেমেছি কতদিন পর আমরা দেখব হাওর মাঠে লাশের মিছিল। তারপরেও প্রশাসনের কিছু যাবে-আসবে না।
সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা দ্রুত ঘোষণার দাবি জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, যদি সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা কৃষক-জনতা সবাইকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা দেখেছি সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম, আটার দাম, তেলের দাম, সবজির দামসহ সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা তা করবেন না। আপনারা জনগণের বন্ধু এই কথাটি মনে রাখবেন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দুই দিনের জন্য আসে টাকা-পয়সা লুটপাট করে চলে যায়। ঠিকাদার যারা আছে তাদের অনেকে বড় প্রভাবশালী, অনেকে রাজনীতিও করে। তারা আমাদের নেতা অথচ তারা কোটি কোটি টাকা মেরে খেয়ে যাচ্ছে। আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথে নামতে হবে। আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। আমরা প্রতিদিন রাজপথে থাকব যতদিন পর্যন্ত না সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হবে।