1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট : এমপি মনোনীত পিআইসিরা কাজ শুরু আগে বরাদ্দকৃত তহবিল হতে ৪০ থেকে ৬০ ভাগ টাকা উঠিয়ে নিয়ে যান

  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক নূরুল হুদা মুকুট। বুধবার সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, গত ২৯ শে মার্চ থেকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ডুবরার পানিতে ধানের থোড় বের হতে না হতেই পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের সব কয়টি হাওর। গত বছর ও সুনামগঞ্জ এর প্রায় অর্ধেক বোরো ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু এবছরের ক্ষয়ক্ষতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পরপর দুই বছর এ ফসলহানির ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
ফসলহানির জন্য হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য প্রতি বছর সরকার থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দিনে দিনে এই বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এই টাকার সিংহ ভাগই তছরুপ হয়ে যায়।
নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের প্রধান প্রধান ভাঙা অংশসমূহ মেরামতের দায়িত্ব পিআইসিদের। স্থানীয় সংসদ সদস্য মহদোয়গণ তাদের পছন্দ মতো পিআইসি নিয়োগ করে থাকেন। এমপি মনোনীত পিআইসিরা কাজ শুরু আগে বরাদ্দকৃত তহবিল হতে ৪০ থেকে ৬০ ভাগ টাকা উঠিয়ে নিয়ে যান কিন্তু দেখা গেছে অনেক এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতের জন্য পিআইসি কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এর ফলে বাঁধের এই ভাঙা অংশে পানি প্রবেশ করে বেশির ভাগ হাওর ডুবে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে চারটি দাবি জানান নূরুল হুদা মুকুট। দাবিগুলো হলো তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ পিআইসি ও ঠিকাদারদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণাপূর্বক সারা বছর ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। হাওর কৃষির উন্নয়নে নদী-নালা, খাল-বিলসহ দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। হাওরে অবৈজ্ঞানিক অবকাঠামো নির্মাণের বদলে এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, তাহিরপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র আবুল হোসেন খাঁ, তাহিরপুর উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাস, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক চৌধুরী রোমেন, দীপঙ্কর কান্তি দে প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com