1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাঁধ ভেঙে ফসলহানি : পাউবো ও ঠিকাদারদের সব দায়ভার নিতে হবে- জেলা প্রশাসক

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭
dig

মোসাইদ রাহাত ::
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সুধীজন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের কড়া সমালোচনা করেন। সুধীজন বিভিন্ন প্রশ্ন করলে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন।
সভায় জেলা প্রশাসক পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকেরা খুবই ধৈর্য্যশীল! তারা তাদের কাজ করবে করবে বলে যখন বৃষ্টি বাড়ে এবং লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি পানি হয়ে যায় তখন তারা বলবে এটা আর আমাদের সাধ্যের ভিতরে নেই। তারা তাদের কাজ করুক আর বিল পাস হলে সকল ঠিকাদাররাসহ বিল নিয়ে চলে যাবেন। আপনাদের ভিতরে যদি ১০০ ভাগের মধ্যে একভাগ মনুষত্ব বোধ থাকত, তাহলে এই দিন আমাদের দেখা লাগত না।
তিনি আরো বলেন, আপনাকে আমি কয়েকবার ফোন দিয়েছি আপনি আমার ফোন ধরেন না। আমি আপনাকে বললাম যে, জরুরি অবস্থায় বস্তা পাঠান হাওরে। আপনি পাঠালেন দুই দিন পর। আমরা একটি জিনিস দেখেছি গতবছর যে রকমভাবে হাওরের যে যে পয়েন্টে ভেঙে ছিল ঠিক এবারও সেই জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল। তাছাড়া একদিন এক লোক আসল আমার কাছে। বলল আমি সুদের টাকা এনে বাঁধে ৮০ ভাগ করিয়েছি। কিন্তু পাউবো এখন আমাকে টাকা দিচ্ছে না। ৮০ ভাগ কাজের মধ্যে আপনারা দিয়েছেন ৩৫ ভাগ টাকা। এটা কেমন করে হয়। আমি সচিব-মন্ত্রী পরিষদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে টাকার কোনো সমস্যা নেই। টাকা লাগলে সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া আমি নিজে গিয়ে হাওরের অনেক বাঁধ পরিদর্শন করেছি। নিজে মাটি কেটেছি কিন্তু আপনাকে দেখা যায় না।
ঠিকাদারদের প্রসঙ্গে শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা কোনো কাজ করবে না। তারা কিছু কাজ করাবে আর করাতে সময় লম্বা সময় নিবে এবং বন্যা হওয়ার পর বলবে আমরা আমাদের যথাসাধ্য কাজ করেছি। তাই এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারদের সব দায়ভার নিতে হবে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ূব বখ্ত জগলুল তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনারা ঠিকাদারদের একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে পারেনা তারা। তাই আপনাদের এই সকল কাজে কোনো ইচ্ছাশক্তি নেই। টাকা নেওয়ার সময় সকল ঠিকাদাররা চলে আসবে। তাই প্রয়োজন ওই সকল ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তাদের কারণে আজ কৃষকের চোখে পানি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে একটি কমিটি করে দেওয়া হোক। যেখানে জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্থানীয় লোকদের নিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজজামান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল হক, জেলা রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, নারীনেত্রী শীলা রায়, এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাগণ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com