1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাড়ছে পানি, বাড়ছে শঙ্কা

  • আপডেট সময় শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
চৈত্রের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানের কয়েকটি হাওরে পানি প্রবেশ করে ফসল হারিয়েছেন কৃষক। নদ-নদীর পানি যেমন বাড়ছে, তেমনি কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সপ্তাহে ৬ দশমিক ১৪ সে.মিটার থেকে ৬ দশমিক ৪০ সে.মিটার সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আপাততঃ বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতায় ইতিমধ্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আঙ্গারুলি সোনাতলা কাইক্কার দাইরের বাগরারদাইর বাঁধ ভেঙেছে, জগন্নাথপুর উপজেলায় নলুয়ার হাওর ও মইয়ার হাওরের বাঁধ ভেঙে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর এলাকায় গোরাডোবা, গোয়ালা, শালদিঘা, খাইলানী হাওরের বাঁধ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এতে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরপাড়ের বাসিন্দা আব্দুল কাদির বলেন, ‘প্রতিবছর বাঁধের বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট হয়। বাঁধে কোনো কাজই হয় না। এবারও বাঁধে সঠিক কাজ হয়নি। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলহানির আশঙ্কায় আছি।’
তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক মরম আলী বলেন, ‘প্রতি বছর ধান রোপণের পর আমাদের মাথায় বাঁধের চিন্তা ঢুকে। হাওরের বেড়িবাঁধ নিয়ে বছর হতাশায় থাকতে হয় আমাদের।’
সদর উপজেলার কাংলার হাওরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক সৌরভ মিয়া বলেন, ‘হাওরের বাঁধ নিয়ে প্রতি বছর ঝামেলায় পড়তে হয়। বাঁধের কাজ ভাল হয় না। এবারও হাওরে পানি ঢুকতে চলেছে। স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নিয়ে যে কাজ হয়, সে কাজের আগে আমাদের সাথে কোনো মতবিনিময় হয় না। বাঁধের বরাদ্দ কত তা আমরা জানতে পারি না।’
শুক্রবার মধ্যনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার নিজেই মাটি মাথায় নিয়ে শালদিঘা-বোয়ালা হাওর রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাঁধ রক্ষা করা যাবে কিনা এ নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।
চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার জানান, যতই আমরা বাঁধ রক্ষার চেষ্টা-প্রচেষ্টা, একে অন্যকে দোষারোপ, পাউবো’র উদ্যোগে হাওরের বেড়িবাঁধ ইত্যাদি লৌকিকতার প্রচেষ্টা কোনটিতেই কোন কার্যকরি ফলদায়ক হবে না। ইহা যেন অনেকটা ক্যান্সার রোগীর জ্বর নিরাময়ে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাইয়ে রোগীকে ড্রেসিং করে কমপ্লিট পরানোর নামান্তর। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, একমাত্র উপায় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ভরাটকৃত নদীগুলিকে দ্রততম সিদ্ধান্তে খননপূর্বক তার পূর্বতন স্বরূপে নিয়ে নিতে হবে। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পূর্বের মত স্টিমার সদৃশ লঞ্চ মধ্যনগর টু ঠাকুরাকোনা যাতায়াত উপযোগী করতে হবে। সেইজন্য আমি মনে করি পাউবো কর্তৃক প্যাকেজ ভিত্তিক হাজার হাজার কোটি টাকার বেড়িবাঁধের প্রজেক্টের চেয়ে পর্যায়ক্রমিক পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে জরুরি ভিত্তিক প্রকৃত সমাধানের উদ্দেশ্যে খনন প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। অন্যতায় মানুষখেকো ঠিকাদাররা অথর্নৈতিক আরো সমৃদ্ধ হবে কিন্তু আমার একফসল নির্ভর কৃষকরা সবাই পর্যায়ক্রমিক কৃষি নির্ভরতা বাদ দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ভোলাগঞ্জ, গার্মেন্টস, চিটাগাংমুখী করা হবে। যার ফলে ভাটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যার ধারা জীবন-জীবিকার তাগিদে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কৃষকবন্ধু নীতিনির্ধারকদের নিকট বিনীত নিবেদন Please Save Our Soul.

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com