দিরাই প্রতিনিধি ::
দুইদিনের ভারি বর্ষণে কালনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর পাড়ে অবস্থিত তুফানখালি বাঁধ ভেঙে বরাম হাওরে পানি ঢুকছে। শুক্রবার রাত থেকে পানি ঢুকতে শুরু হয়। স্থানীয় কৃষকরা বাঁধ পুনরায় বাঁধতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও কালনী নদীর পশ্চিম পাড়ের বোয়ালিয়া বাঁধ, কেজাউড়ার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো বছরই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয় না। স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের দর কষাকষির কারণে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম হয়। কৃষকদের দাবি, বাঁধ নির্মাণে নামে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট না করে স্থায়ীভাবে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
এদিকে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালেই বাঁধ পরিদর্শন যান দিরাই-শাল্লার উপনির্বাচনে বিজয়ী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মীনি ড. জয়া সেনগুপ্তা, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাভেল, পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, সাবেক মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা আজহার চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া।